চিড়িয়াখানা ও সেখানকার প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে এই উদ্যোগ।
প্রথম বার চিড়িয়াখানা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? কেমন ছিল সম্পূর্ণ নতুন জগতের মুখোমুখি প্রথম বার দাঁড়ানোর স্মৃতি? সেটাই আবার ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হল আলিপুর ‘জুলজিক্যাল গার্ডেন’ বা পরিচিত নামে আলিপুর চিড়িয়াখানা। ৮ এপ্রিল ‘চিড়িয়াখানা প্রেমী দিবস’-এ ‘জুলজিক্যাল গার্ডেন’-এর তরফে আয়োজন করা হল পড়ুয়াদের জন্য এক প্রতিযোগিতার। স্কুল এবং কলেজের পড়ুয়ারা লিখে পাঠাতে পারেন প্রথম বার চিড়িয়াখানা দেখার অভিজ্ঞতা। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হবে সেরা লেখাগুলি।
মূলত ৩টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রতিযোগিতা। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য প্রথম বিভাগ। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা লিখতে হবে ৩০০ শব্দে। তার উপরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। শব্দ সংখ্যা ৫০০। আর তৃতীয় বিভাগটি বরাদ্দ কলেজপড়ুয়াদের জন্য। তাঁদের জন্য শব্দ সংখ্যার সীমা ৭৫০। নিজেদের স্মৃতিরোমন্থন করা যাবে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায়। ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল।
কেন এমন উদ্যোগ? চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলছেন, ‘‘করোনার কারণে এ বছর অনেক কিছুই নতুন করে করতে হচ্ছে। ভাবতে হচ্ছে। প্রতি বছরই বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের পড়ুয়াদের জন্য আমরা নানা ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করি। কিন্তু তার অনেকগুলিই এ বার করা যাচ্ছে না কোভিডের আতঙ্কে।’’ সেই কারণেই অনলাইনে এমন এক প্রতিযোগিতার আয়োজন বলে জানালেন তিনি। তবে শেষ এখানেই নয়, আগামী দিনে এই ধরনের আরও কাজ হবে বলে জানা গেল চিড়িয়াখানার তরফে।
চিড়িয়াখানার নেটমাধ্যমের পাতাটি জনপ্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। হাতির মেনুকার্ড থেকে বাঘের আশ্চর্য ক্ষমতা— নানা মজার তথ্য নিয়মিত জানানো হয় সেখানে। এ বার চিড়িয়াখানার স্মৃতিচারণ নিয়ে করা এই প্রতিযোগিতাও নেটমাধ্যমের পাতা থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেটাও একই রকম জনপ্রিয় হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy