আবার ব্রুসের কী হল? ছবি- সংগৃহীত
‘ফ্রন্টয়োটেম্পরাল ডিমেনশিয়া’-এ আক্রান্ত হলিউড অভিনেতা ব্রুস উইলিস। ব্রুসের প্রাক্তন স্ত্রী ডেমি ম্যুর বৃহস্পতিবার তাঁর সমাজমাধ্যমে ব্রুসের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে এই পোস্ট করেন। বছর খানেক আগেই ‘অ্যাফাসিয়া’-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শব্দ উচ্চারণ করা এবং কথা বলার অসুবিধার কারণেই অভিনয় জগৎ থেকে সরে এসেছিলেন। কিন্তু নতুন করে ‘এফটিডি’-তে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে পুরনো সেই রোগের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি?
কেন হয় ‘এফটিডি’?
মস্তিষ্কের এমন অনেকগুলি রোগের সমষ্টি হল ‘ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া’। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের নিউরোনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাম শুনে বোঝাই যাচ্ছে, সাধারণত মস্তিষ্কের এই দু’পাশ এবং সামনের অংশের স্নায়ু আক্রান্ত হয়। এই ‘এফটিডি’-র আবার প্রকারভেদ রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে ‘অ্যাফাসিয়া’-এ আক্রান্ত হলে পরবর্তী পর্যায়ে ‘এফটিডি’-র মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
অভিনেতা ‘এফটিডি’-র কোন পর্যায়ে রয়েছেন, সে সম্পর্কে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
‘এফটিডি’-র লক্ষণ কী?
বিভিন্ন স্তরে এফটিডি-র বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা দিতে পারে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট ছোট জিনিস মনে রাখতে না পারা, যে কোনও আবেগ বা উচ্ছ্বাসের অতিরিক্ত বহিঃপ্রকাশ, ব্যবহারে বা ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন, অচেনা মানুষ দেখলেই অস্বাভাবিক আচরণ করার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই রোগে কে আক্রান্ত হবেন, তা আগে থেকে নির্ধারণ করা যায় না।
এই রোগের কি চিকিৎসা সম্ভব?
এই রোগ পুরোপুরি সেরে যায় না। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে তার বিস্তার খানিক শ্লথ করা সম্ভব।
‘অ্যাফাসিয়া’ আর ‘এফটিডি’ আলাদা?
বছরখানেক আগে, ‘অ্যাফাসিয়া’-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রুস। ‘অ্যাফাসিয়া’ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত শব্দ উচ্চারণ করতে এবং কথা বলতে অসুবিধা হয়। অক্ষমতা তৈরি হয় লেখার ক্ষেত্রেও। কিন্তু ‘এফটিডি’ হল অনেকগুলি রোগের সমষ্টি। যার মধ্যে একটি অ্যাফাসিয়া হলেও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy