ভিটামিন এ, সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন ই, ফোলেট, আয়রনও। পুষ্টিগুণের জন্যই খাদ্যতালিকায় পালংশাক রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। তবে শুধু শরীর নয়, পালং কিন্তু স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে পারে কেশও। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এবং চুলে বেড়ে ওঠার জন্য যে সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন হয়, তার সবই রয়েছে এই শাকে।
পালংশাক কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুল পড়া, চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দূর করে।
পালংয়ের ফোলেট বা ভিটামিন বি৯ এবং ভিটামিন ই মাথার ত্বকের কোষগুলির পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুলের জন্য পালংয়ের উপকারিতা নিয়ে এর পরে আর সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল কী ভাবে কেশচর্চায় পালংশাকের গুণাগুণ কাজে লাগাবেন?
পালং মাস্ক: পালং শাকে থাকা আয়রন চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করা মোটই কঠিন নয়। টাটকা পালং শাক ভাল করে ধুয়ে বেটে নিন বা মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তার পর সেটি চুলে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। পালং শাকের সঙ্গে টক দই মিশিয়েও মাখতে পারেন। মাস্কটি মাথায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পালং-নারকেল তেল: চুল যদি ভীষণ রুক্ষ হয়, ডগা ফাটার সমস্যা থাকে তা হলে পালংশাকের সঙ্গে যোগ করুন নারকেল তেল। পালংশাক ধুয়ে বেটে রস বার করে নিন। তার সঙ্গে নারকেল তেল যোগ করে হালকা গরম করে মাথায় মালিশ করতে হবে। মিনিট ১৫ তেল মাথার ত্বকে বসতে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন।
পালং শট: সুন্দর চুলের জন্য যেমন বাইরে থেকে পরিচর্যার প্রয়োজন তেমনই দরকার পুষ্টির। শরীরে ভিটামিন, খনিজের অভাব হলে তার প্রভাব ত্বকে এবং চুলে পড়তে বাধ্য। চুলের পরিচর্যায় পালং শাক মাস্ক অথবা তেল হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন পালংয়ের রস। সকালে খালি পেটে পালংয়ের শট খেলে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পাবে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে বজায় থাকবে তারুণ্য।