শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয় সবার আগে। তার কারণ শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে। ত্বকে আনে রুক্ষ ভাব। আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য এবং তারুণ্য দুই-ই বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ঠিক থাকলে। শীতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এবং ত্বককে উজ্জ্বল দেখানোর জন্য তাই একটিই বিষয় খেয়াল রাখা সবার আগে জরুরি। ত্বকের আর্দ্রতা যেন দিন ভর বজায় থাকে। আর সেই কাজটি শুধু দু’বেলা মুখে ক্রিম মেখে সম্ভব নয়।
ত্বককে দিন ভর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে কয়েকটি ভিটামিন। যা ভিতর থেকে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হল ভিটামিন ই।
ত্বককে কী ভাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে ভিটামিন ই?
১. ভিটামিন ই ময়েশ্চারাইজার বা অ্যামোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। ভিটামিন ই ত্বককে শুষ্ক, রুক্ষ হতে দেয় না।
২. ভিটামিন ই ত্বকের উপরিভাগে একটি বাধা তৈরি করে, যা জলীয় অংশকে ত্বকের ভিতরে আটকে রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক দীর্ঘক্ষণ আর্দ্র থাকে।
৩. রুক্ষতা কমায়। এটি রুক্ষ বা ফাটা দাগগুলিকে নরম করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে।
৪. শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হিসেবে ত্বককে রক্ষা করে ভিটামিন ই। দূষণ এবং সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি এবং অন্যান্য কারণে তৈরি ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে ত্বককে মুক্ত করে। ফলে ত্বকের কোষের ক্ষতি কমে। ত্বকের নিষ্প্রভ ও নিস্তেজ হয়ে যাওয়া আটকায়।
৫. ভিটামিন ই-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের কোষের পুনর্গঠন এবং মেরামত প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে ত্বক সতেজ ও প্রাণবন্ত দেখায়।
৬. ত্বকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থাকলে তা অকাল বার্ধক্যের ছাপ ফেলে। ত্বকে বলিরেখা পড়ে। ভিটামিন ই ত্বককে তরুণ দেখাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ পাঁচটি খাবার কী কী?
কাঠবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, পালং শাক, অ্যাভোকাডো এবং ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। তাই শীতে নিয়মিত এই খাবারগুলি খেতে পারেন।