কে বলবে আড়াই বছর পর ৫০-এ পা দেবেন! আমেরিকার শিল্পপতি, নেটপ্রভাবী ব্রায়ান জনসন জনপ্রিয় হয়েছেন বয়স হওয়ার নিয়মকে ঘুরিয়ে দেওয়ার দাবি করে। ‘অ্যান্টি-এজিং’ অথবা বার্ধক্য রোধের জন্য ‘ব্লুপ্রিন্ট’ নামে একটি কঠোর রুটিন তৈরি করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ঘুম এবং বিভিন্ন থেরাপি। সেই ব্যক্তির থেকেই ত্বকচর্চা, রূপচর্চা, শরীরচর্চার কৌশল জানার জন্য মুখিয়ে থাকেন কত মানুষ। সম্প্রতি মুখের বলিরেখা কমানোর কিছু পন্থার কথা জানিয়েছেন ব্রায়ান, যা তিনি ব্যবহার করেন গত কয়েক বছর ধরেই।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ম্লান হওয়াই স্বাভাবিক। ঘরোয়া টোটকা মেনে কেবলমাত্র সেগুলির সময় পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ৪৭ বছরের ব্রায়ানের মুখে বলিরেখার দেখা মেলে না। ব্রায়ান জানাচ্ছেন, তিনি মোট তিনটি কৌশল প্রয়োগ করেন, যা মূলত ট্রিটমেন্ট।

বলিরেখার কবল থেকে বাদ পড়েন না নায়িকারাও। ছবি: সংগৃহীত।
ভিসিয়া, টিক্সেল এবং সফওয়েভ। এই তিনটি ট্রিটমেন্টের উপর ভরসা রেখে উপকার মিলেছে তাঁর। ব্রায়ানের কথায়, ‘‘আমার মুখের বয়স নির্ধারণের জন্য মাল্টি-স্পেকট্রাল ইমেজিং হল ভিসিয়া। অতিবেগনি রশ্মিতে ক্ষতিগ্রস্ত দাগ, বাদামি-লাল ছোপ, ত্বকের ছিদ্র— এগুলি পরীক্ষা করে এটি। এই ইমেজিংয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে ট্রিটমেন্ট নির্ধারণ করা হয়। যেমন, ত্বকের ক্রিম এবং অন্যান্য থেরাপির সাহায্য নিতে হয় তখন।’’ ব্রায়ান জানালেন, বেশির ভাগ ‘অ্যান্টি-এজিং’ ক্রিমই কোনও কাজের নয়।
আরও পড়ুন:
ব্রায়ান জানান, তাঁর ত্বকে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী বাকি দুই থেরাপি। টিক্সেল এবং সফওয়েভ আল্ট্রাসাউন্ডের থেরাপি, যা ত্বকের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে কোলাজেন তৈরি করে এবং ইলাস্টিন বৃদ্ধি করে। গত কয়েক বছর ধরে এই দুই থেরাপির উপরই নির্ভরশীল ব্রায়ান।
যদিও বলিরেখার দেখা মেলে বার্ধক্যের কারণেই, কিন্তু তার পরও একাধিক কারণ অনুঘটকের কাজ করে। যেমন সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি, যা কোলাজেন কমিয়ে দেয় এবং ইলাস্টিন নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বক ঝুলে পড়া, বলিরেখা দেখা দেওয়া এবং বয়সের ছাপ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই রোদে বেরোনোর আগে এসপিএফ ৫০-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে।