সানস্ক্রিন শুধু রূপচর্চার উপকরণ নয়, রোজকার জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন সব ত্বক-বিশেষজ্ঞরাই। কেউ কেউ তো এ-ও বলে থাকেন যে, রাতেও সানস্ক্রিন ত্বকে লাগানো উচিত। ফলে বাইরে বার হওয়ার সময় জুতো পরার মতো করেই আমরা সকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি ইদানীং। মনে করা হয় মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দার আলো ত্বকের ক্ষতি করে। তাই শুধু বাইরে নয়, ঘরের ভিতরেও ব্যবহার করা উচিত সানস্ক্রিন লোশন কিংবা ক্রিম। সুতরাং সানস্ক্রিন শুধু রূপচর্চার উপকরণ নয়, রোজকার জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
অথচ এটাও সত্যি যে সূর্যের আলো ত্বকের জরুরি কিছু উপকারও করে। যার মধ্যে অন্যতম অবদান, শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি প্রদান করা। ফলে কেউ কেউ মনে করেন, শরীরে সানস্ক্রিন লাগালে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে পৌঁছবে না। যার জন্য শারীরিক অসুস্থতা তৈরি হতে পারে এবং শরীর হয়ে যেতে পারে ভীষণ দুর্বল। এই ভুল ধারণা ভেঙ্গে ফেলা অত্যন্ত জরুরি। কারণ চিকিৎসকদের মতে, যত শক্তিশালী সানস্ক্রিনই আমরা ত্বকে নিয়মিত লাগাই না কেন, তা কখনও সূর্যালোককে পুরোপুরি আটকাতে পারে না।
একটি সমীক্ষায় জানা যায় যে, ৯৮ এসপিএফ দেওয়া সানস্ক্রিনও অন্তত দুই শতাংশ সূর্যালোক ত্বকে পৌঁছে যায়। তা ছাড়া ভিটামিন ডি-র ঘাটতি কমানোর জন্য উপযুক্ত সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং শারীরিক ব্যায়াম প্রয়োজনীয়। সূর্যের আলোই সে ক্ষেত্রে একমাত্র অবলম্বন নয়।
অন্য দিকে এ-ও ভুললে চলবে না যে সূর্যের চড়া আলো যদি বেশি সময় ধরে আমাদের ত্বকে এসে পৌঁছয়, কোনও বড়সড় ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মির আধিক্য আমাদের ডিএনএ-র অবস্থানে বদল ঘটিয়ে ত্বকের ক্যানসারে পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া অন্য রোগ-ব্যাধি হওয়াও অসম্ভব নয়। ফলে সানস্ক্রিন বর্জন করার কথা যদি কেউ ভাবতে চান, তবে তা সঠিক সিদ্ধান্ত যে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy