বছর দুই, তিন আগেও যাঁরা চিয়াবীজের নাম শুনলে ভ্রু কোঁচকাতেন, তাঁদের অনেকেই এখন সকালে উঠে চিয়াবীজ ভেজানো জল খান। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজে ভরপুর এই বীজের পুষ্টিগুণের কথা যতই প্রচার পেয়েছে, ততই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নানা ভাবে সেটিকে যুক্ত করেছেন।
তবে শুধু ‘সুপার ফুড’ হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়নি, রূপচর্চার জগতেও ঢুকে পড়েছে চিয়াবীজ। মৃত কোষ ঝরাতে, বলিরেধা দূর করতে, ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে এর গুণাগুণ প্রমাণ হয়েছে আগেই। তবে শুধু বার্ধক্য প্রতিরোধে নয়, ত্বকের একটি সাধারণ অথচ বিরক্তিকর সমস্যার সমাধানও করে দিতে পারে চিয়া। চিয়াবীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে চালের জলে। তার পর তাতেই হবে রূপচর্চা।
আরও পড়ুন:
পেলব, মসৃণ ত্বকেও অনেক সময় নাকের উপরে থাকা ছোট ছোট ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডস সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। অনেক সময় স্ক্রাবিং করেও তা তোলা যায় না। তবে চালের জলে ভিজিয়ে রাখা চিয়া কিন্তু এ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
এমনিতে চিয়াবীজের যেমন গুণাগুণ আছে, তেমনই আছে চালের জলের। বিশেষত কোরিয়ানদের রূপচর্চায় চালের জলের বহুল ব্যবহার রয়েছে। ফারমেন্টেড বা মজিয়ে নেওয়া চালের জল শুধু বলিরেখা বা কালচে ভাব দূর করে না, ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও অত্যন্ত কাজের। তবে দুই উপকরণ মেলালে, তার গুণ বাড়বে অনেকটাই।
কী ভাবে বানাবেন বিশেষ মাস্ক?
এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ আধ কাপ ফারমেন্টেড বা রাতভর ভেজানো চালের জল ছেঁকে তাতে ফেলে দিন। বীজ চালের জল শোষণ করে ফুলে উঠবে। চিয়াবীজ জল টেনে জেলের মতো আকার ধারণ করে। ব্রণের সমস্যা থাকলে যোগ করতে পারেন দু'ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল। এটি অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান।
ব্যবহারবিধি: মিশ্রণটি পুরো মুখে ভাল করে মেখে নিন। নাকের ডগা, কপাল বা মুখের যে অংশে ব্ল্যাক হেড্স রয়েছে, সেখানে পুরু করে মিশ্রণটি লাগিয়ে দিন। ১৫-২০ মিনিট মুখে রেখে হালকা হাতে মালিশ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে জোরে ঘষাঘষি করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। এক বার মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেড্স পুরোপুরি পরিষ্কার হবে না বটে, তবে সপ্তাহে এক দিন করে এটি কয়েক মাস ব্যবহার করলে সমস্যার সমাধান হবে। জেল্লা ফিরবে মুখেও।