টাকের জন্য হাসির পাত্র হয়ে ওঠা অনেকের জন্য অস্বস্তিকর। আবার অনেকে টাক পড়াকে সৌন্দর্যের ঘাটতিও মনে করেন। কিন্তু টাক নিয়ে লজ্জিত হওয়ার কিছুই নেই। বংশগত কারণ, যত্নের অভাব বা যে কোনও শারীরিক সমস্যায় চুল উঠে টাক পড়ে যেতেই পারে। তাতে দুঃখিত না হয়ে বরং যত্ন নিন টাকের। মনে রাখবেন, চুলের মতো টাকের যত্ন নেওয়াও জরুরি। টাকই হয়ে উঠতে পারে আপনার স্বতন্ত্র ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’।
কী ভাবে নেবেন টাকের যত্ন, তার হদিস দিলেন চর্মরোগ চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ী। চিকিৎসক বলেন, ‘‘ত্বকের যত্ন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলেও টাকের যত্ন নিয়ে খুব বেশি কথা হয় না। যাঁদের মাথার উপর থেকে চুলের আবরণ চলে যাচ্ছে তাঁদের মাথার ত্বকের উপর সূর্যালোক বা পরিবেশ দূষণ সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই টাকের পরিচর্চা করা ভীষণ জরুরি।’’
১) পরিষ্কার রাখুন: টাক পড়ে গিয়েছে বলে ভাববেন না শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তেল ও ময়লা জমে টাক অমসৃণ দেখায়। টাকের চামড়া উঠে সাদা, খসখসে দেখাতে পারে। তাই নিয়ম করে টাক পরিষ্কার করুন। সাবান বা তরল সাবান ব্যবহার করলে টাক আরও রুক্ষ দেখায়। তাই নিয়মিত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২) সানস্ক্রিন ব্যবহার: কেবল মুখে নয়, টাকেও এসপিএফ ৩০-এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্রিম বা জেল দু’টোই চলবে। দুপুরে রোদে বেরোলে টুপি পরুন।
৩) ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার: গোটা শরীরের ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা যেমন জরুরি, তেমনই টাকের আর্দ্রতা বজায় রাখাও প্রয়োজন। তাই প্রচুর জল খান। স্নানের পর লাইটওয়েট, নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে শীতকালে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতেই হবে।
আরও পড়ুন:
৪) শেভিং কেয়ার: ঠিক যে ভাবে দা়ড়ি কাটেন, সেই ভাবে নিয়মিত মাথা কামিয়ে রাখতে পারেন। মাথার ক্ষেত্রে নতুন রেজ়র ব্যবহার করাই ভাল। শেভিংয়ের আগে লুব্রিকেটিং জেল বা ফোম ব্যবহার করতে হবে। শেষে ইচ্ছে করলে অ্যালকোহলমুক্ত আফটারশেভ ব্যবহার করতে পারেন।
৫) ত্বকের পরীক্ষা: মাথায় খুশকি, লালভাব, র্যাশ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বেসাল সেল ক্যানসারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে মাথায়। তাই তিল, আঁচিল, কালচে দাগ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেলে স্কাল্প চেক আপ করানো ভীষণ জরুরি।