কোন তুলিতে মুখের অংশ ফুটে উঠবে ছবি- সংগৃহীত
রূপটান শিল্পীর মতো নিজের হাতেই মুখে কারুকাজ করতে চান। তাই মেকআপ করতে যা যা প্রয়োজন, সবই কিনে ফেলেছেন। নানা জায়গায় মেকআপ শেখানোর ভিডিয়ো দেখে কিছু ব্রাশও কিনে ফেলেছেন, কিন্তু ঠিক কোন ব্রাশটি কোন প্রসাধনীর জন্য ব্যবহার করা হয় তা জানেন না।
মুখের গড়ন এবং প্রসাধনীর ব্যবহারের উপর ব্রাশের আকার নির্ভর করে। তাই ব্রাশ কেনার আগে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার।
১) ফাউন্ডেশন ব্রাশ: প্রাইমার মাখার পর, মেকআপের একেবারে প্রথম পর্যায় হল ফাউন্ডেশন। মুখে ফাউন্ডেশন ভাল করে যাতে মিশে যেতে পারে, তা নিশ্চিত হয়েই এই ব্রাশ কিনতে হয়।
২) কন্সিলার ব্রাশ: চোখের তলার কালো দাগ ঢাকা দিতে অনেকেই কন্সিলার ব্যবহার করেন। খুব সামান্য পরিমাণ কন্সিলার নিয়ে, মুখের কালো অংশে ফোঁটা ফোঁটা করে মেখে নিন। তার পর কন্সিলার ব্রাশ দিয়ে ত্বকে মিশিয়ে নিন।
৩) ব্লাশ ব্রাশ: ব্রাশের গোছার মধ্যে সবচেয়ে মোটা ব্রাশটি থাকে ব্লাশের জন্য। ব্লাশের রং মুখে ভাল করে না মিশলে দেখতে খারাপ লাগে। তাই প্রথমে খুব সামান্য পরিমাণ নিয়ে মুখের ত্বকে ভাল করে মেশাতে হয়।
৪) কনটোর ব্রাশ: মুখের তীক্ষ্মতা বজায় রাখার জন্য নাকের, গালের এবং চোয়ালের দু’পাশে কনটোর আঁকা হয়। এই কনটোর মেশানোর জন্য একটু চ্যাপ্টা মুখের তুলি ব্যবহার করা হয়।
৫) হাইলাইট ব্রাশ: মুখের জেল্লা বাড়াতে ব্লাশের উপর অনেকেই একটু হাইলাইটার ব্যবহার করেন। এই হাইলাইট ব্রাশ দেখতে অনেকটা চিন বা জাপানের হাতপাখার মতো।
৭) আইশ্যাডো ব্রাশ: সাধারণত চোখের প্রসাধনী কিনলে, তার সঙ্গে এই ব্রাশ দেওয়া থাকে। তাই দেখলেই চিনতে পারা যায়। তবুও যদি আলাদা করে ব্রাশ কিনতে হয় তা হলে মাথায় রাখা ভাল যে আইশ্যাডো লাগানো এবং তা মেশানোর ব্রাশ কিন্তু আলাদা।
৮) লিপ ব্রাশ: লিপস্টিক পরার সময় প্রথমে লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিতে হয়। তাই সেই তুলি যতটা সম্ভব সরু এবং সূক্ষ্ম হয়। লিপস্টিক মাখার ব্রাশ তার চেয়ে একটু মোটা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy