ছবি: প্রতীকী
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাব থাকে। চুলও রুক্ষ থাকে বেশির ভাগ সময়। তাই চুলের ফাটা ডগাগুলি বেশি চোখে পড়ে। গরমে এই সমস্যা ততটা চোখে পড়ে না। অনেক সময়েই দেখা যায়, গোড়া থেকে চুল না উঠে এই ফাটা অংশ থেকে চুল ভেঙে গিয়ে ঝরে পড়ে। যাঁরা চুল লম্বা করবেন বলে ভাবছেন, তাঁদের জন্য চুলের ডগা ফাটার সমস্যা যথেষ্ট ক্ষতিকর। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
১) নিয়মিত ট্রিম করা
অনেকেই বলেন নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুল কাটলে চুলের এই সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। অনেকে আবার চুল কাটার পর সেই কাটা অংশে নারকেল তেলও মেখে রাখেন। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
২) মাস্ক ব্যবহার করা
রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য সামগ্রী দিয়ে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলুন এই প্যাক। দুই টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানান। গন্ধে সমস্যা না থাকলে ডিমের কুসুমও মেশাতে পারেন। চুলের ডগা ফাটা রোধ করতে যেমন কার্যকর, ঠিক তেমনই চুল মোলায়েম করতেও সাহায্য করে এই প্যাক।
৩) ঘষা না লাগা
স্নানের পর তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল ঝাড়বেন না। চুল থেকে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে চেপে জল মুছে নিতে পারেন। গেঞ্জি কাপড় হলে সব থেকে ভাল। চুলে বেশি সময় ধরে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখাও উচিত নয়। চুল মোছার জন্য মাইক্রোফাইবারজাতীয় তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) চুলে তাপ না লাগা
প্রতি দিন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোনো চুলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায় ড্রায়ারের তাপের কারণে। ধীরে ধীরে চুল লাল হয়ে ফেটে যায়। নিতান্তই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হলে চুলে অবশ্যই হিট প্রোটেক্টর ব্যবহার করুন। কার্লার, স্ট্রেটনার বা ক্রিম্পারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
৫) চুলে গরম জল না দেওয়া
গরম জলে স্নান করলে চুলের আর্দ্রতা হারাতে থাকে। যার জেরে রুক্ষ হয়ে চুল ফেটে যায়। ঠান্ডা লাগলে বরং হালকা গরম জলে স্নান করুন। তবে স্নানের শেষে চুলে ঠান্ডা জল ঢেলে নিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। এতে চুলের ডগা ফাটা রোধ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy