গ্রীষ্মের মতো মাথার ত্বকে ঘাম হওয়ার প্রবণতা থাকে না শীতের সময়ে। কিন্তু তা বলে কি শ্যাম্পু করা বা মাথা ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই? অন্যান্য ঋতুর মতো শীতেও চুল এবং মাথার ত্বকে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। মাথার ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে ওঠে, আর্দ্রতা হারায় চুলগুলিও। ফলে চুলের যত্নের জন্য বিশেষ পন্থার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রীষ্ম ও বর্ষার নিয়ম শীতে মানলে কাজ দেবে না। তাই জেনে নিতে হবে, শীতে সপ্তাহে কত বার শ্যাম্পু করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর সর্বজনীন নয়। চুলের ধরন অনুযায়ী পাল্টে যাবে সে উত্তর।
শীতের ঠান্ডা বাতাস উল্লেখযোগ্য ভাবে ত্বকে জলশূন্যতার সমস্যা তৈরি করে। ফলে শুষ্কতা, জ্বালা, অস্বস্তি বেড়ে যায়। এই সময়ে চুল বেশি বার ধুলেও যেমন শুষ্কতা বেড়ে যেতে পারে, তেমনই কম ধুলেও জট পড়া, চুলকানির সমস্যা হতে পারে। তাই সপ্তাহে কত বার চুল ধোবেন, তা নির্ধারণ করতে হলে প্রত্যেকের মাথার ত্বক এবং যাপনের ধরন বিশ্লেষণ করতে হবে।
মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্য়াম্পু করুন। ছবি: সংগৃহীত।
মাথার ত্বক শুষ্ক হলে কত বার শ্যাম্পু করবেন?
আপনার মাথার ত্বক কি সারা বছরই শুষ্ক থাকে? তা হলে শীতের সময়ে এই সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। জল আর শ্যাম্পু বেশি প্রয়োগ করলে শুষ্কতা আরও বেড়ে যাবে। তাই সপ্তাহে এক-দু’বারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। সালফেটমুক্ত বা ময়েশ্চারাইজ়িং শ্যাম্পু বেছে নিন। প্রতি বার ধোয়ার পরে হাইড্রেটিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। শীতের সময়ে অতিরিক্ত ধুলে মাথার ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে কত বার মাথা ধোবেন?
সারা বছর মাথার ত্বক তৈলাক্ত থাকলেও, শীতের সময়ে এই সমস্যা খানিক কমে যায়। তাই গরমের সময়ে ঘন ঘন শ্যাম্পু করলেও শীতে সপ্তাহে ২-৩ বারই যথেষ্ট। এর ফলে এক দিকে যেমন মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, অন্য দিকে জট পড়ার সমস্যা বাড়ে না। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যাতে মৃদু এক্সফোলিয়েশনের ক্ষমতা রয়েছে। চুলের গোড়া বাদ দিয়ে কন্ডিশনার মাখুন।
কোঁকড়ানো চুল কত বার ধোবেন?
শীতের সময়ে কোঁকড়া চুল দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। তাই বেশি বার শ্যাম্পু করা উচিত নয় এই সময়ে। আপনার যদি কোঁকড়া চুল হয়, তা হলে সপ্তাহে এক বার অথবা প্রতি দশ দিনে এক বার ধুলেও সমস্যা নেই।