এগ্জ়িমা এমন এক চর্মরোগ যা শীতের সময়ে আরও বাড়ে। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘অ্যাটপিক ডার্মাইটিস’। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়া এগ্জ়িমা অন্যতম লক্ষণ। ঠান্ডার সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ত্বক শুকিয়ে আরও খসখসে হয়ে যায়। সোরিয়াসিসের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের ত্বক আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে ও চর্মরোগ থেকে বাঁচতে, বিশেষ এক ধরেন ফেস-প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
স্নান থেকে শুরু করে ত্বকের চর্চায় ওট্স বেশ কার্যকর। ব্রণ কমাতে, ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে ওট্স স্ক্রাবার ও ক্রিম হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত রূপটানে ত্বক হবে সুন্দর, উজ্জ্বল। শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর হবে।
ত্বক নরম ও মসৃণ করতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন ওট্স?
এক কাপের একটু কম হালকা গরম দুধ নিন। তাতে মেশান অর্ধেক কাপ ওট্স। মিশ্রনটা ঠান্ডা হলে ক্লিনজ়ার হিসাবে মুখে ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকে এই রূপটান ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। শুষ্ক ত্বক হলে এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
ওট্স ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে খুব কার্যকর। ওট্স-এর সঙ্গে কাঠবাদাম মিশিয়ে হালকা করে গুঁড়িয়ে নিন। এতে দিন দুধ ও কয়েক ফোঁটা মধু। মুখের পাশাপাশি গলা, ঘাড়, হাত এমনকি সারা শরীরেই এটা ব্যবহার করতে পারেন। রোদে পোড়া কালচে ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বক কোমল হবে এতে। এই ফেস-প্যাক ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।
আরও পড়ুন:
‘অয়েল ফ্রি’ ক্লিনজ়ার কিন্তু বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ওট্মিল দিয়ে। আধ কাপ ফুটন্ত জলের সঙ্গে আধ কাপ ওটমিল ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি মুখে মেখে রাখুন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।