সামনে পুজো অথচ বৃষ্টি থামার নাম নেই। পুজোয় বৃষ্টি হলে সাজগোজের বারোটা বাজবে তো বটেই। কিন্তু তার থেকেও চিন্তার বিষয় হল এই বৃষ্টিভেজা আবহাওয়া ক্ষতি করবে ত্বকেরও। সেই সমস্যাও পুজোর সাজ নষ্ট করতে পারে।
ধরা যাক মহালয়ার সকালে একটি সুন্দর পোশাক পরে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাবেন বলে রেডি। কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলেন গালে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে লালচে র্যাশ আর ফুস্কুড়ি কিংবা ব্রণর দাগ। অথবা পুজোয় নতুন জুতো পরতে গিয়ে দেখলেন পায়ের গোড়ালিতে সাদা সাদা দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যা আসলে এক ধরনের অ্যালার্জি কিংবা ডার্মাটাইটিস। বর্যায় দিন গড়াতে গড়াতে মুখের ত্বক থেকে প্রায় তেল চুঁইয়ে পড়ার মতো তৈলাক্ত ভাবও হয় অনেকের। মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। মুখে কালচে ছাপও পড়ে।
এই সবই বর্ষার ত্বকের সমস্যা। কারণ—
১। বর্ষায় ত্বকে সিবামের ক্ষরণ বাড়ে। যা ত্বকের রন্ধ্রপথ বন্ধ করে দেয়। ফলে ধুলো-ময়লা জমে, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে। ফলে ব্রণ বাড়ে।
২। বর্ষায় জমা জল পায়ে লেগে ছত্রাকের সংক্রমণ, এগ্জ়িমা, ডার্মাটাইটিস এবং অ্যালার্জি হতে পারে।
৩। বর্ষায় সিবামের নিঃসরণ বেশি হওয়ার কারণে যাঁদের তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বক, তাঁদের ত্বকে তেলের নিঃসরণ বাড়ে। যা ত্বককে কয়েক ঘণ্টা অন্তর তৈলাক্ত করে তুলতে পারে। এতে ত্বকে ধুলো-ময়লা আটকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
কী ভাবে সমস্যা সামলাবেন?
১। যাঁদের বর্ষায় ব্রণের সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা দিনে দু’বার ভাল ভাবে মুখ পরিষ্কার করুন। এক বার ক্লিনজ়িং মিল্ক বা নারকেল তেল দিয়ে পরিষ্কার করার পরে ফেস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করুন।
২। পায়ে বর্ষার জল থেকে হওয়া সমস্যা এড়াতে বর্ষায় পায়ে এবং গায়েও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। তার সঙ্গে স্নানের জলে মেশাতে পারেন ডেটল, স্যাভলন, সুদলের মতো জীবাণু নাশক।
৩। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা, তাঁরা অবশ্যই ‘অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজ়ার’ ব্যবহার করুন। যে সমস্ত ত্বক পরিচর্যার প্রসাধনীে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, নায়াসিনামাইড এবং জ়িঙ্ক আছে, তেমন জিনিস ব্যবহার করুন।