Advertisement
E-Paper

কোলাজেনেই লুকিয়ে চুলের রহস্য! অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থেকে কেরাটিনের উপকার পেতে কী করবেন

প্রোটিনের গুণেই চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকে। সেই প্রোটিনের অন্যতম স্তম্ভ হল কোলাজেন। বয়স, মানসিক চাপ বা পরিবেশগত কারণে শরীরে কোলাজেন কমে গেলে চুল পাতলা ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই কোলাজেন উৎপাদনের নিয়ম জেনে নিন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০২
কেশস্বাস্থ্যে কোলাজেনের ভূমিকা।

কেশস্বাস্থ্যে কোলাজেনের ভূমিকা। ছবি: সংগৃহীত।

রূপচর্চার জগতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে কোলাজেন। শরীরের ভিতরের এই প্রোটিন সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে গত কয়েক বছরে। বলিউড তারকাদের মধ্যে যেমন সোনম কপূর কোলাজেন মিশ্রিত কফি পান করেন, সামান্থা রুথ প্রভু পান করেন কোলাজেন সমৃদ্ধ এক পানীয়, ‘কোলাজেন ওয়াটার’-এর নতুন সংস্থার মুখ হয়েছেন সুনীল শেট্টী। ‘অ্যান্টি-এজিং’য়ের জমানায় কোলাজেন নিয়ে ভাবনাচিন্তা যে হবেই, তা আর নতুন কী! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের স্বাভাবিক কোলাজেন উৎপাদন কমে যায় বলে ত্বকে বলিরেখা এবং বার্ধক্যের অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়। এই প্রক্রিয়াকে ধীর করতে বা প্রতিরোধ করতেই অনেকে কোলাজেনের সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করছেন। তবে কেবল ত্বকের ক্ষেত্রেই যে কোলাজেনের প্রয়োজন, তা নয়, চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও এই প্রোটিনের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, কোলাজেন কেশস্বাস্থ্যের জন্য কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়। রইল তারই খুঁটিনাটি।

কোলাজেনে মজবুত হবে চুল।

কোলাজেনে মজবুত হবে চুল। ছবি: সংগৃহীত।

প্রোটিনের গুণেই চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকে। সেই প্রোটিনের অন্যতম স্তম্ভ হল কোলাজেন। বয়স, মানসিক চাপ বা পরিবেশগত কারণে শরীরে কোলাজেন কমে গেলে চুল পাতলা ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে পারলে প্রাণ ফিরে পায় চুল। চুলে, মাথার ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এই প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে।

কোলাজেন চুলে কী ভাবে কাজ করে?

নতুন করে চুল গজানোর কাজে অবদান না থাকলেও চুলে পুষ্টির জোগান দেওয়ার জন্য কোলাজেন উপকারী। কোলাজেন শরীরে গিয়ে প্রোলিন ও গ্লাইসিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত গয়। এগুলি কেরাটিন তৈরি করতে সাহায্য করে। আর কেরাটিনই চুলের মূল গঠনের জন্য দায়ী। কেরাটিন বাড়লে চুলের ঘনত্ব বাড়ে। কোলাজেন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। যে সব ক্ষতিকর অণুর আক্রমণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে, কোলাজেন তা থেকে রক্ষা করে। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল উন্নত করতে সাহায্য করে। এর ফলে গোড়ায় পুষ্টি ভাল ভাবে পৌঁছোয় এবং চুল ভিতর থেকে মজবুত হয়। বয়স বাড়লে মাথার ত্বক শক্ত হতে থাকে, স্থিতিস্থাপকতা হারাতে থাকে। কোলাজেন মাথার ত্বককে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে, ফলে চুলের ভিত আরও শক্তিশালী হয়।

চুলের জন্য শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন কী ভাবে?

১. সাপ্লিমেন্ট বা খাবার হিসেবে: অনেকেই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে খাওয়ার পক্ষপাতী। হাইড্রোলাইজ়ড কোলাজেন পেপটাইড্‌স সবচেয়ে ভাল শোষিত হয়। ভিটামিন সি-যুক্ত ফর্ম নিলে শরীর নিজেও কোলাজেন তৈরি করতে উৎসাহ পায়। এর পাশাপাশি চা, কফি, পানীয়ের মাধ্যমে প্রতি দিন ৫-১০ গ্রাম কোলাজেন খাওয়া যেতে পারে।

২. বাহ্যিক ব্যবহার: কোলাজেন মিশ্রিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা যায়। তবে সরাসরি মাথার ত্বকে লাগানো কোলাজেন সম্পূর্ণ ভিতরে পৌঁছে পুনর্গঠন করতে পারে না, কারণ এর অণুগুলি আকারে বড়। তাই ভিতর থেকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ালেই বেশি কাজ দেয়।

৩. প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি: প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার অর্থাৎ লেবু, আমলকি, বেল পেপারেও প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন বৃদ্ধি পেতে পারে। কোলাজেনের জন্য পর্যাপ্ত জল পান করা দরকার। পাশাপাশি ভাল ঘুম হলে ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করলে কোলাজেন ক্ষয়ের গতি ধীর হতে পারে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও রোদ কোলাজেন নষ্ট করতে পারে সময়ের আগেই।

collagen Hair care Collagen Rich Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy