বয়স হলে চামড়া কুঁচকে যাবে, বলিরেখা পড়বে— সেটাই স্বাভাবিক। তবে রূপচর্চাশিল্পীরা বলেন, সময় থাকতে সঠিক কৌশলে ত্বকের যত্ন নিলে, বয়সের ঘড়িকে আরও কিছু দিন ঠেকিয়ে রাখা যায়। তা ছাড়, ধুলো-ধোঁয়া, দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক অকালেই বুড়িয়ে যায়। ঠিকমতো যত্ন না করলে ত্বকে কম বয়সেই বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
আর তা ঠেকাতেই বেছে নিতে পারেন সিরাম। ত্বকের গভীরে গিয়ে যত্ন নিতে সাহায্য করে সিরাম। এক এক সিরামের এক একরকম কাজ। কোনওটি ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করে, কোনওটি ব্রণ কমায়, কারও কাজ ত্বকের বার্ধক্যের গতি রোধ করা, বলিরেখা পড়তে না দেওয়া।
আরও পড়ুন:
বাজারে নানা রকম সিরাম পাওয়া যায় ঠিকই। তবে তাতে থাকে নানা রকম রাসায়নিক। তবে যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের পরিচর্যা করতে চান, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন লবঙ্গের সিরাম।মশলা হিসাবে ব্যবহৃত লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং প্রদাহনাশক উপাদান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। লবঙ্গে প্রাকৃতিক ভাবেই তেল থাকে যা ত্বকের জন্য উপকারী। লবঙ্গ তেলের অ্যান্টিসেপটিক গুণ ব্রণ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে নিমেষেই মেরে ফেলে। শুধু তা-ই নয়, এই তেলে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদানের গুণে ব্রণের দাগ-ছোপও মিলিয়ে যায়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে লবঙ্গ।
কী ভাবে বানাবেন সিরাম?
এক কাপ জলে ৮-১০টি লবঙ্গ আঁচ কমিয়ে ফুটিয়ে নিন ৫-৭ মিনিট। জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। লবঙ্গের নির্যাস এবং গুণ ওই জলেই মিশে যাবে।
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল, ১ চা-চামচ গ্লিসারিন এবং ১ টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে লবঙ্গ ফোটানো জল খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এ বার দিতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মধ্যস্থ তরল। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে কাচের ছোট শিশিতে ভরে নিন।
ক্লিনজ়িং এবং টোনিং-এর পর মিশ্রণটি মুখে মাখুন। দিনভর ঘোরাঘুরির পরে বাড়ি ফিরে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া জরুরি। তার পর ব্যবহার করতে হবে টোনার । তার পরে সিরাম।
বাড়িতে তৈরি এই সিরাম ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি সেই আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করবে। ব্রণের ঝুঁকি কমাবে। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা চট করে পড়বে না। বলিরেখা পড়ে যাওয়ার আগেই এই সিরাম ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।
সতর্কতা: নতুন কোনও জিনিস ত্বকে মাখার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ জরুরি। সিরাম মুখে মাখার আগে হাতের কোনও অংশে ২-৩ ফোঁটা দিয়ে মাসাজ করে নিন। ২-৩ ঘণ্টা পরেও যদি কোনও সমস্যা না হয়, তা হলে তা মুখে মাখা শুরু করুন।