বাড়িতেই চুল সোজা করার নির্ভরযোগ্য উপায়। ছবি- সংগৃহীত
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা—উৎসবের লিস্ট শেষ হতে না হতেই শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। শীতকালে পিকনিক বা সপ্তাহজুড়ে বড়দিন উদ্যাপনের আগে নিজেকে আবার সাজিয়ে তুলতে হবে। কিন্তু সালোঁর রাসায়নিক ব্যবহার করায় বরাবর অনীহা। এ দিকে, উৎসবের ক’টা দিন স্ট্রেটনার, হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহারে চুলও খারাপ হতে বসেছে। কিন্তু পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে যেমন-তেমন চুলের সাজ তো মানাবে না, তাই যদি চুল সোজা করতেই হয়, ভরসা রাখতে হবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে।
কী কী ব্যবহার করে চুলকে প্রায় সালোঁর মতো সোজা করে ফেলা যায়?
১) ডিম
চুলের জন্য প্রোটিন কতটা জরুরি, সে কথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ভিটামিন বি, প্রোটিন এবং খনিজের গুণে সমৃদ্ধ ডিম চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। চুলের বিভিন্ন প্রসাধনীতেও আজকাল ডিমের প্রোটিন ব্যবহার করা হয়। চুলকে প্রায় সোজা করার জন্য ডিমের হলুদ অংশের সঙ্গে কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথায় এবং চুলে লাগিয়ে নিন।
২) মধু
শুধু ত্বকচর্চা নয়, মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতেও বিভিন্ন প্যাকে মধু ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চুল সোজা করতে মধু কী ভাবে ব্যবহার করা করবেন? পাকা কলা চটকে, তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাথায় মেখে ফেলুন। চুল সোজা করতে সাহায্য করবে এই প্যাক।
৩) ভিনিগার
মাথায় খুসকি হলে অনেকেই জলে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে নেন। এই ভিনিগারের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল যৌগ, মাথার ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ রোধ করে এবং পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়াও এই ভিনিগার দিয়ে কিন্তু চুল স্ট্রেটও করা যায়।
দইয়ের সঙ্গে ভিনিগার ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত মেখে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন জল দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিলেই হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy