ছবি: সংগৃহীত।
জলখাবারে দুধ-কর্নফ্লেক্সের বদলে এখন অনেকেই দুধ-ওট্স খেয়ে থাকেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই খাবার শরীরের জন্য ভাল। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিরাময়ে ওট্স দারুণ কাজের। যাঁরা ওজন নিয়ে সারা ক্ষণ চিন্তায় থাকেন, তাঁদের জন্য এই খাবার উপকারী।
তবে, অনেকেই হয়তো জানেন না, ওট্স বা ওটমিল দিয়ে কিন্তু ত্বকেরও যত্ন নেওয়া যায়। ওটমিল বা ওট্সের গুঁড়োর মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের প্রোটিন এবং ভিটামিন ই, যা ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও এই জিনিসটি দারুণ কাজের। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ওট্সের ব্যবহার কিন্তু আলাদা। কেউ স্নানের জলে মিশিয়ে নেন ওটমিল। আবার, কেউ ক্লিনজ়ার হিসাবেও ব্যবহার করেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী কে কী ভাবে ওট্স ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
স্নানের জলে কী ভাবে মেশাবেন ওটমিল?
ঈষদুষ্ণ জলে বেশ কিছুটা ওটমিল এবং কয়েক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। কতটা পরিমাণ মেশাবেন, তা নির্ভর করবে স্নানের জলের পরিমাণের উপর। এ বার মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই টোটকা দারুণ কাজের।
ওটমিল দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন মাস্ক
ত্বকে জমা মৃত কোষ দূর করতে, ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে এই মাস্ক দারুণ কাজের। এক কাপ দুধের মধ্যে দু’কাপ ওটমিল এবং মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিন বিশেষ এই প্যাক। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। স্নানের আগে সারা গায়ে ভাল করে মেখে নিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
‘এক্সফোলিয়েটর’ হিসাবে ব্যবহার করা যায় ওটমিল
ভিতর থেকে ত্বকের জেল্লা ফুটিয়ে তুলতে সপ্তাহে অন্তত দু’বার এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। বাজার থেকে কেনা এক্সফোলিয়েটর না মেখে ওটমিল দিয়েই তা বানিয়ে ফেলতে পারেন। ওটমিলের সঙ্গে মধু এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন এক্সফোলিয়েটর। হালকা হাতে মিনিট পাঁচেক ঘষে নিন। তার পর স্নান করে ফেলুন। দেহের উপর জমা মৃত কোষ, রোদে পোড়া দাগ সহজেই ফিকে হবে। শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও এই টোটকা বেশ কাজের।
তৈলাক্ত ত্বকের ক্লিনজ়ার হিসাবে ব্যবহার করা যায় ওটমিল
সেবাম গ্রন্থির অতিরিক্ত সক্রিয়তার কারণে মুখ তেলতেলে হয়ে যায়। ‘অয়েল ফ্রি’ ক্লিনজ়ার কিন্তু বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ওটমিল দিয়ে। আধ কাপ ফুটন্ত জলের সঙ্গে আধ কাপ ওটমিল ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি মুখে মেখে রাখুন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তবে, ওটমিল রোজ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। প্যাক, এক্সফোলিয়েটর বা স্নানের জল— যে ভাবেই ওটমিল মাখুন না কেন, সপ্তাহে দু-তিন দিনের বেশি মাখার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy