পার্লারে গিয়ে অনেকেই ফ্রুটস ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন। কিন্তু ভেজিটেবল বা আনাজ দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করার উদাহরণ খুব কমই দেখা যায়। আলুর রস দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উদাহরণ রয়েছে। এ বার জানা গেল কুমড়ো দিয়েও ত্বকের পরিচর্যা করা যায়। ত্বকের চিকিৎসক গুরবীন গরেকর জানাচ্ছেন, কুমড়োয় এমন অনেক জরুরি পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা ত্বকের উপকারে লাগতে পারে।
কুমড়ো ত্বকের জন্য কেন উপকারী?
অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট: কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এবং পরিবেশের দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যা বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
ভিটামিন এ এবং সি: ভিটামিন এ ত্বকের নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক মসৃণ দেখায়। অন্য দিকে, ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে জরুরি।
ফলিক অ্যাসিড: কুমড়োতে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ফলে ত্বকের কোষে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছায় এবং ত্বক স্বাস্থ্যকর দেখায়।
প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর: কুমড়োতে কিছু প্রাকৃতিক এনজাইম এবং আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। এগুলো ত্বকেরমৃত কোষ দূর রতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
জ়িঙ্ক ও পটাশিয়াম: জিঙ্ক ব্রণ কমাতে এবং ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর পটাশিয়াম ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
২ চামচ কুমড়োর শাঁস (সেদ্ধ করে পেস্ট করা)-এর সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং ১/২ চামচ দই বা ১/২ চামচ দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মুখে এবং গলায় এই প্যাকটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ত্বক আরও সতেজ ও উজ্জ্বল হবে।