প্রচণ্ড গরম পড়েছে, এখন সাজগোজ নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা ভাবলেই শরীর ঘেমে উঠছে! কিন্তু তার মধ্যেও অফিস যেতে হবে, জরুরি মিটিংয়েও থাকতে হবে। অফিসকর্মীদের পক্ষে কর্পোরেট পোশাক থেকে চট করে লুক বদলে ফেলাটা সমস্যার। বিশেষ করে যে দিন অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট মিটিং থাকবে, সে দিন সাজগোজ রুচিসম্মতও হতে হবে। পোশাকেই ফুটে ওঠে সেই মানুষটির রুচির পরিচয়, সৌন্দর্যবোধ। কর্মক্ষেত্রেও তাই পোশাক নির্বাচন ও সাজসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।
অফিস মিটিংয়ে কেমন হবে সাজসজ্জা?
কর্পোরেট অফিসে সাধারণত ফর্ম্যাল ড্রেস পরাটাই রীতি। যদিও সময়ের সঙ্গে এই রীতি পালটেছে। তবে ‘স্মার্ট ক্যাজুয়াল’ পোশাক হিসাবে টি-শার্ট মোটেই পরা চলবে না। সে ক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল শার্ট, জিন্স, সঙ্গে মানানসই লোফার্স বা স্নিকার্স পরতে পারেন। গরমের দিনে গায়ে হালকা বডি-স্প্রে বা সুগন্ধী স্প্রে করতেই হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন বেশি উগ্র না হয়।
কর্পোরেট আদবকায়দা ধরে রাখতে চাইলে ফর্ম্যাল শার্টই ভাল। অফিসে ফুলহাতা বা হাফহাতা ফর্ম্যাল শার্ট পরাই উচিত। বিভিন্ন রকম নকশা করা বা জরির কাজের শার্ট অফিসে না পরাই ভাল। হাফহাতা শার্টের সঙ্গে টাই যে সবিশেষ মানায় না, এই ধারণা অনেকেরই নেই। এই ভুল একেবারই করবেন না। জুতো এবং বেল্টের রঙেও সামঞ্জস্য থাকা চাই। যে রঙের বেল্ট, সেই রঙেরই জুতো পরার চেষ্টা করুন। তাড়াহুড়োয় এক রঙের বেল্টের সঙ্গে অন্য রঙের জুতো গলিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। দেখতে বেমানান লাগে।
আরও পড়ুন:
মেয়েরা পরতে পারেন স্কার্ট-টপ। সালোয়ার-কামিজ, শাড়িও পরা যেতে পারে। কর্পোরেট স্যুটও পরতে পারেন। চান্দেরি সিল্ক গরমে অনায়াসে পরা যায়। চেহারার গড়ন অনুযায়ী পোশাক বাছাই করলে তাঁকে দেখতে ভাল লাগবে। ঋতু অনুযায়ী আরামদায়ক পোশাক বেছে নেওয়াই ভাল। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না পরা যেতেই পারে, তবে তা যেন বাহুল্য বলে মনে না হয়। পোশাক অনুযায়ী গয়না বাছতে হবে। সাজগোজ ছিমছাম থাকাই ভাল।
ছেলেদের খেয়াল রাখতে হবে, ঢোলা শার্ট বা ব্লেজ়ার অফিসের জন্য বেমানান। ঢোলা বা ব্যাগি শার্ট যে কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠানে পরতে পারেন, কিন্তু অফিসে নয়। তেমনই বড় মাপের ব্লেজ়ারও দেখতে ভাল লাগে না। অফিসে যদি ব্লেজ়ার পরতেই হয়, তা হলে সঠিক মাপের কিনুন। আপনার মাপের চেয়ে ছোট বা বড়, কোনওটিই ভাল লাগবে না। আবার এমন পোশাক পরবেন না, যা শরীরের সঙ্গে এঁটে থাকে।
মেক-আপ: অফিসের জন্য মেকআপ হবে ছিমছাম। প্রথমে ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগান। বিশেষ করে চোখের নীচের অংশে ভাল করে ফাউন্ডেশন মাখুন। এ বার কমপ্যাক্ট পাউডার নিয়ে নাকের উপর, গাল, কপাল ও চোখের নীচে লাগান। তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ যেন অতিরিক্ত সাদা না হয়ে যায়। খুব বেশি উগ্র সাজবেন না। চোখের নীচে হালকা করে কাজল লাগান। আইলাইনার না পরলেও চলে। প্রয়োজনে মাস্কারা লাগাতে পারেন। ঠোঁটের মেক-আপটা সুন্দর করে করুন। প্রথমে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটের বাইরে এঁকে নিন। তার পর পছন্দের লিপস্টিক লাগান। খুব বেশি চড়া নয়, হালকা রঙের লিপস্টিক লাগান।
যেহেতু অফিসের মিটিং, তাই উঁচু করে চুল বাঁধতে পারেন। মুখের সামনে যেন চুল না আসে সে দিকে খেয়াল রাখুন। মাঝে সিঁথি করে দু’পাশে চুল ছেড়ে দিন। বাড়িতে কার্লার থাকলে এবং হাতে সময় থাকলে, দু’দিকে নীচের অংশটুকু কার্ল করে নিন। এই ধরনের চুলের কায়দা যে কোনও জায়গাতেই মানানসই। তবে পোশাক অনুযায়ী কেশসজ্জা করতে পারলে ভাল হয়।