চুল পড়া, খুশকি থেকে মাথার ত্বকের সংক্রমণ— যাবতীয় সমস্যা সমাধানে ইদানীং টি ট্রি অয়েল ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ভেষজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ মাথার ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দূর করে। চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। খুশকি পরিষ্কার করে এবং মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর করে। চুলের দৈর্ঘ্য নিয়ে চিন্তায় থাকেন যাঁরা, তাঁদের কাছেও এই তেল বেশ জনপ্রিয়। তবে চুলের সমস্যা মেটাতে গেলে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে।
টি ট্রি অয়েল কী ভাবে ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে?
চুলের ভিতর পর্যন্ত পুষ্টি জোগায় টি ট্রি অয়েল। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ আছে বলে মাথার ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে এটি ফলপ্রসূ। রোদেজলে শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতেও সাহায্য করে এই এসেনশিয়াল অয়েল। উপযুক্ত পুষ্টি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পেতে সাহায্য করে। তাই চুল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।
আরও পড়ুন:
রোজকার শ্যাম্পুতে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পুর বোতলে ১০-১৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু মেখে দু’-তিন মিনিট রেখে দিতে হবে। ওই সময়েই চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শুষে নেবে। মসৃণ ও উজ্জ্বল চুল পাবেন।
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তার জন্য টি ট্রি অয়েল মালিশ করা জরুরি। তবে মাথায় সরাসরি এই তেল মাখা যায় না। নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে এই তেল মাখা যেতে পারে।
মাথার ত্বকে সংক্রমণ রুখতে অনেকেই টোনার ব্যবহার করেন। বাজার থেকে কেনা টোনারের পরিবর্তে বাড়িতেই টি ট্রি অয়েল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্যাল্প টোনার। এক কাপ জলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। স্প্রে বোতলে ঢেলে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। চিরুনি দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিয়ে স্প্রে করে নিন।