দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় শিখেছেন। যখন বুঝেছেন ফিট থাকার এবং সুন্দর থাকার নেপথ্যকথা, তখন বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ৪০। সেই আক্ষেপ এখনও কুরে খায় ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর সঞ্চালিকা মিনি মাথুরকে।
অভিনেত্রী এবং মডেল পঞ্চাশের দোরগোড়াতে পৌঁছেও যথেষ্ট সুন্দরী। তবে তিনি নিজে সঠিক সময়ে যা করেননি, সেই বার্তাই দিতে চান তরুণ প্রজন্মকে। মিনি মনে করেন, যদি ১৮-তেই রূপচর্চার সঠিক কৌশল জানা থাকত, তা হলে আজ তিনি লাভবান হতেন।
আরও পড়ুন:
নিয়ম করে ত্বক পরিষ্কার: দিনভর ঘোরাঘুরি, কাজের পর রাতে ক্লান্ত শরীরে অনেকেই বিছানায় গা এলিয়ে দেন। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের অনেকেই মোবাইল, ওটিটিতে সিরিজ দেখার নেশায় এমন বুঁদ থাকেন যে, রাতে মুখ পরিষ্কারের কথা মনেই থাকে না। মিনি সতর্ক করছেন, এই ভুল করা ঠিক নয়। ত্বকের রোগের চিকিৎসক অভীক শীলও বলেন, মেকআপ করার পর দিনের শেষে তা তুলে ফেলা খুব জরুরি। প্রসাধনীর রাসায়নিক যত বেশি ক্ষণ ত্বকে থাকবে, ততই ক্ষতি।
ময়েশ্চারাইজ়ার: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন মিনি। না হলে রাতভর ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারাবে। ময়েশ্চারাইজ়ার যে কোনও মরসুমেই ত্বককে আর্দ্রতার বর্ম দেয়। তবে পুষ্টিবিদ কণিকা মলহোত্র মনে করাচ্ছেন, শুধু ময়েশ্চারাইজ়ারের সুরক্ষাবর্মই যথেষ্ট নয়। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি, জ়িঙ্কের মতো ভিটামিন, খনিজ ত্বকের জেল্লা বজায় রাখার জন্য জরুরি।
ঘন ঘন চুল রং নয়: চুল রং করাই কেশসজ্জার একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। দেখতে ভাল লাগে বলেই অনেকে ঘন ঘন রং করেন। কেউ আবার একঘেয়ে লাগছে বলে দু’তিন মাসে চুলের রং বদলে ফেলেন। মিনি সতর্ক করেছেন, তরুণ প্রজন্মের এমন প্রবণতা ক্ষতিকর। রঙের রাসায়নিক চুলের ক্ষতি করে। যত বেশি রং ব্যবহার হবে, ততই চুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
জল খাওয়া: শরীর সুস্থ রাখতে, ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত জলপানে জোর দিচ্ছেন মিনি, যেটি ছোট থেকে বড়, অনেকেই এড়িয়ে যান। তবে পুষ্টিবিদ কণিকা মলহোত্র বলছেন, দিনে ৩-৪ লিটার জল খাওয়াই যথেষ্ট। তার বেশি নয়।
নেতিবাচক ভাবনা: নেতিবাচক ভাবনা সম্পর্কে নিজেকে বোঝাতে হবে, সেগুলি সঠিক নয়। সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে। ব্যক্তিত্বে যেন সেই ভাবনার প্রতিফলন ঘটে। পুষ্টিবিদের কথায়, দুশ্তিন্তা, উদ্বেগে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ব্রণ, বলিরেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে।