নামী দামি ব্র্যান্ডের বডি অয়েল বা ফেসপ্যাক যখন ছিল না, তখন কিন্তু মুখে সর্ষের তেলই মাখতেন অনেকে। ধারণা আছে, সর্ষের তেল মুখে মাখলে নাকি ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যায় বা ত্বক পুড়ে যায়। তা কিন্তু একেবারেই নয়। ‘ইনোভেটিভ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস’ নামক জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্ষের মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। ত্বকের প্রদাহও কমাতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসবে খুব তাড়াতাড়ি।
সর্ষের তেলের সঙ্গে মধু
এক চা চামচ খাঁটি সর্ষের তেলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চিমটে হলুদও মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণ ভাল ভাবে মুখে ও দুই হাতে মালিশ করুন। ২০ মিনিট রেখে উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
উপকার কী হবে? সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই পদ্ধতিতে সর্ষের তেলের প্যাক মুখে মাখলে ত্বকের দাগছোপ উঠে যাবে। ট্যান পড়ার সমস্যা দূর হবে। মধুর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ কমাবে। র্যাশ বা ত্বকে সংক্রমণ হলে, সেই সমস্যাও দূর হবে।
আরও পড়ুন:
সর্ষের তেল ও ওট্সের প্যাক
এক চা চামচ সর্ষের তেলের সঙ্গে এক চামচ ওট্স মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এই মিশ্রণ ভাল করে মুখে মালিশ করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
উপকার কী হবে? ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ওট্স ডায়েট থেকে ত্বকের পরিচর্চা সবেতেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্রণ কমাতে, ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে ওট্স স্ক্রাবার হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। সর্ষের তেল ও ওট্সের স্ক্রাবার ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে পারে। ত্বকের আর্দ্রতা ও পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে।