সাতসকালে ঘুম ভেঙে আয়নার সামনে গিয়ে আঁতকে উঠলেন! মুখে ব্রণ। এমনটা হবে ভাবেননি। আচমকা আগত এই ব্রণ আপনার সাজগোজের পরিকল্পনা চৌপাট করে দিতে পারে। তার জন্য কী করবেন?
ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ত্বকের কোষে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। রুক্ষ ত্বককে কোমল করতে পারে। তা ছাড়া অলিভ অয়েলের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ত্বকের কোষের পিএইচের ভারসাম্যও বজায় রাখে। তা ছাড়া মধু, অ্যালো ভেরার মধ্যেও প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে যা ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।
নাকের পাশের ব্রণ সারবে কী ভাবে?
বরফ
ব্রণকে সামলাতে বরফের জুড়ি নেই। ব্রণের উপরে অন্তত পাঁচ মিনিট বরফ বোলান। এতে ব্রণের লালচে ভাব কমবে। ফোলা ভাবও কমবে। তাতে তা চোখে পড়বে কম। মুখে বরফ দিলে ত্বকও মসৃণ দেখাবে।
অলিভ অয়েল ও মধুর মাস্ক
এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এর পর ঈষদোষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন বার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার টোনার
সম পরিমাণে জল ও ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। যদি দু'চামচ জল নেন, তা হলে ভিনিগারও দু'চামচই দিতে হবে। সরাসরি অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ত্বকে মাখা যাবে না। মিশ্রণ থেকে তুলোয় করে অল্প পরিমাণে নিয়ে ব্রণ, র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন:
মধু-দারচিনির মাস্ক
মধু ও দারচিনি দুয়েরই অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে আধ চামচের মতো দারচিনি মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ব্রণ, র্যাশের জায়গায় ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে। তার পর ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে নিতে হবে। নিয়মিত এই মাস্ক মাখলে, ব্রণর সমস্যা দূর হবে। গরমে ঘামাচি হলেও তার থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।