মেকআপ সুন্দর করার জন্য বেস মেকআপ সঠিক হওয়া জরুরি। তাই মেকআপ কিটে কনসিলার রাখতেই হবে। মেকআপ করার আগে মুখের দাগ, ছোপ, চোখের তলার কালি ঢেকে ফেলে কনসিলার। দাগছোপ ঢেকে ফেলা কেবল নয়, কনসিলার মেকআপকে নিখুঁত করে তুলতে পারে। পুজোর সময়ে মেকআপ করবেন। রূপটান ঠিকমতো না হলে পুজোর সাজই মাটি হবে। তাই কনসিলারের নিখুঁত ব্যবহার শিখে নিন আগে থেকেই।
কনসিলার ব্যবহারের কিছু টিপ্স
অনেক ক্ষেত্রেই কনসিলার লাগাতে গিয়ে গোলমাল হয়ে যায়। বেশি লাগিয়ে ফেললেই দেখতে খারাপ লাগে। ফাউন্ডেশন বা কমপ্যাক্ট যেমন ত্বকের রং, ধরন অনুযায়ী বেছে নেওয়া উচিত, তেমনই ত্বকের রং, দাগের ধরন অনুযায়ী কনসিলারও ব্যবহার করতে হয় সঠিক ভাবে।
মেকআপ শুরুর আগে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার ব্রাশে করে প্রাইমার নিয়ে মুখে ও গলায় ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। তার পর দাগের উপরে আলতো হাতে কনসিলার লাগিয়ে নিন। যদি ব্রণ, ফুসকুড়ি, দাগছোপ থাকে, তা হলে তা ঢেকে দেবে কনসিলার।
চোখের নীচের পুরো অংশ নয়। শুধু কালচে ভাব রয়েছে এমন জায়গাগুলিতেই কনসিলার লাগান। স্বাভাবিক আলোয় আয়নায় দেখুন। তা হলেই বুঝতে পারবেন, কোন জায়গা বা জায়গাগুলো ত্বকের স্বাভাবিক রঙের থেকে কয়েক স্তর গাঢ়।
আরও পড়ুন:
আঙুলের সাহায্যে হালকা হাতে ছড়িয়ে দিন কনসিলার। খেয়াল রাখুন, যেখানে দরকার সেই জায়গার বাইরে না চলে যায়। স্পঞ্জ বা ব্রাশের সাহায্যে অতিরিক্ত কনসিলার ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ভাল ভাবে।
ত্বকে যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, তা হলে যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে আগে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। তার পর কনসিলার লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে মিশিয়ে দিন। এ বার অল্প একটু ফাউন্ডেশন নিয়ে ব্রণর চারধারে কয়েক ফোঁটা লাগিয়ে মিশিয়ে দিন আঙুল দিয়ে।
কনসিলার কেনার আগে খেয়াল রাখুন
কনসিলারেরও নানা প্রকার রয়েছে। ত্বকের ধরন এবং কার্যক্ষমতা বুঝে কনসিলার নির্বাচন করতে হয়। ধরা যাক, কারও ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত। সে ক্ষেত্রে তরল কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। আবার কারও ত্বক যদি শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে ক্রিম বেস্ড কনসিলার ব্যবহার করাই ভাল। ফাউন্ডেশনের চেয়ে কনসিলারের রং এক ধাপ বেশি উজ্জ্বল হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
ভারতীয়দের ত্বকের ধরন অনুযায়ী অরেঞ্জ টোনড কনসিলার খুব ভাল মানায়। কনসিলার খুব ভাল করে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। না হলে মুখে ফুটে উঠবে। মনে রাখবেন, কনসিলারের সঙ্গে সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানোও জরুরি।