বাড়ি থেকে বেরনোর আগে সুগন্ধি মাখেন অনেকেই। তবে সাধারণত একটি সুগন্ধির বোতল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই তা ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ নানা ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করেন। কিন্তু ফ্যাশন দুনিয়ায় অনেকেরই মত, ঋতুভেদে সুগন্ধি বদলে ফেলা উচিত।
আরও পড়ুন:
ঋতুভেদে সুগন্ধি বদলের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। একটি গ্রীষ্মকালীন সুগন্ধি শীতকালের সুগন্ধের সঙ্গে একেবারেই মেলানো উচিত নয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ, ত্বকের রাসায়নিক গঠন এবং মেজাজও বদলে যায়, যা একটি সুগন্ধির ঘ্রাণ ও শরীরে তার স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করে।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সুগন্ধি পরিবর্তন করলে সতেজ ও স্বতন্ত্র থাকা যায়। ঋতুর পরিবর্তন শরীরের আর্দ্রতা ও তেলের পরিমাণকেও প্রভাবিত করে, যা ত্বকে সুগন্ধির আচরণ ও স্থায়িত্বকে আরও প্রভাবিত করে। যেমন গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকার ফলে ত্বকে বা পোশাকের উপর সুগন্ধিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। আবার এই একই সুগন্ধি শীতকালে হালকা অনুভূত হতে পারে শুধুমাত্র তাপমাত্রার কারণে। আবার গ্রীষ্মকালে যে সুগন্ধি দ্রুত উবে যায়, তার স্থায়িত্ব শীতকালে অনেকটাই বেড়ে যায়। দিনের পর দিন একই সুগন্ধি ব্যবহারের ফলে চারপাশের মানুষের মধ্যে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে একই রকম ধারণা তৈরি হতে পারে।
কোন ঋতুতে কোন সুগন্ধি
গরমে উগ্র সুগন্ধি না বেছে হালকা ও সতেজ কোনও সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়। ফল এবং ফুলের থেকে তৈরি সুগন্ধি গরমকালে ব্যবহার করা যায়। অন্য দিকে, শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে কিছুটা জটিল মিশ্রণে তৈরি সুগন্ধি থেকে বেশি ফল পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে ঝাঁঝালো কোনও সুগন্ধি ব্যবহার করলে অনেক ক্ষণ তা স্থায়ী হয়।