অনলাইনে হোক বা শপিং মলে গিয়ে— প্রসাধনী কেনার সময়ে সাধারণত রঙের কথাই প্রথম মাথায় আসে। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে কিনতে হবে ফাউন্ডেশন, কন্সিলার কিংবা ব্লাশ। পোশাকের রঙের সঙ্গে আইশ্যাডো কিংবা লিপস্টিক। তবে যাঁরা রূপটান সম্পর্কে সচেতন, তাঁরা আবার ত্বকের ধরন বুঝেও প্রসাধনী কেনেন। কিন্তু মেয়াদ? কেনার সময়ে প্রসাধনীর শিশি কিংবা টিউবের পিছনে লেখা মেয়াদের নির্দিষ্ট তারিখ দেখে নেওয়ার কথা মাথায় থাকে কি?
আরও পড়ুন:
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রসাধনীটির ‘সিল’ খোলার পর থেকে তা ব্যবহার করার যে নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও সকলে অবহিত নন। পোশাকি ভাষায় যাকে ‘পিরিয়ড আফটার ওপেনিং’ বা ‘পাও’ বলা হয়। আবার এমনও অনেকে আছেন যাঁরা সমাজমাধ্যমের দৌলতে এই বিষয়ে কম-বেশি জ্ঞান অর্জন করেছেন। কিন্তু ব্যাপারটিকে বিশেষ পাত্তা দেন না। ফলে নিজেদের অজান্তেই দাম দিয়ে কেনা প্রসাধনী থেকে ত্বকের ক্ষতি শুরু হয়। তাই প্রসাধনীর ব্যবহার এবং কেনার আগে প্রতিটি জিনিসের মেয়াদ সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী মাখলে ত্বকে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) ত্বকে অস্বস্তি
দিনে দিনে মেপআপ প্রসাধনীর মধ্যে থাকা রাসায়নিকের চরিত্র বদলাতে থাকে। ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে থাকে। সেই প্রসাধনী মুখে ব্যবহার করলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতেই পারে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
২) অ্যালার্জি
দামি সংস্থার মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহার করে হঠাৎ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে? জ্বালাও করছে? ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী মাখলে র্যাশ তো হতেই পারে। তা ছাড়াও ত্বকে এমন ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে, যা আগে কখনও হতে দেখেননি।
৩) চোখের সমস্যা
আইলাইনার, মাস্কারা, নকল চোখের পাতার মতো সাজগোজের জিনিসের মেয়াদ পেরিয়ে গেলে, তা মোটেই ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ধরনের প্রসাধনী ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। কনজাঙ্কটিভাইটিস, ড্রাই আইজ় বা চোখ জ্বালা বা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতেই পারে।