সজ্জিত টেবিল। সুদৃশ্য বাসন, শৌখিন টেবিল ক্লথ, মোমের আলোর নরম আভা। শোভা পাচ্ছে স্বচ্ছ কাচের পাত্রে ওয়াইন কিংবা সুরা! ‘ফাইন ডাইনিং’-এ এমন ছবি দেখে অভ্যস্ত সকলেই। তবে সেই ছবি এখন বদলাচ্ছে। রন্ধনশিল্পী সাগর সরকার দীর্ঘ দিন হোটেল-রেস্তরাঁ জগতের সঙ্গে যুক্ত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘ফাইন ডাইনিং-এ ওয়াইনের পাশাপাশি দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে চা-কফি। নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি— সর্বত্রই রন্ধনশিল্পীরা স্বাস্থ্যসচেতন অতিথিদের কথা ভেবে অ্যালকোহলবিহীন পানীয় নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।’’

কোন খাবারের সঙ্গে দেবেন কোন চা? ছবি: সংগৃহীত।
রান্না থেকে শুরু করে খাবার পরিবেশনে রুচিশীলতা, শৌখিনতার ছাপ থাকবে, ‘ফাইন ডাইনিং’ বলতে সহজ ভাবে বোঝায় এটাই। চাইলে অতিথি আপ্যায়নে বাড়িতে তৈরি করা যায় ‘ফাইন ডাইনিং’-এর আবহ। সেখানেই যদি টেবিল সাজাতে চান চা-কফি দিয়ে, জেনে নেওয়া দরকার কোন খাবারের সঙ্গে কোনটি, কী ভাবে পরিবেশন করা চলে।
গ্রিন টি: অতিথি যদি স্বাস্থ্যসচেতন হন বা খাওয়ার শুরুতে হালকা কিছু থাকে, তা হলে পরিবেশন করা যায় গ্রিন বা হোয়াইট টি। সেদ্ধ বা স্যতে করা সব্জি কিংবা উপমহাদেশীয় কায়দায় রান্না মাছ পরিবেশিত হলে এমন চায়ের সঙ্গতই হবে সঠিক।
আরও পড়ুন:
কফি: মাংস খাচ্ছেন বা মাখনে রান্না করা খাবার, তখন ডার্ক রোস্ট কফি হবে সঠিক যুগলবন্দি।
লাল চা: ভাজাভুজি বা তেল-মশলাদার খাবার দেওয়া হলে তার সঙ্গে ভাল যাবে লাল চা অথবা কালো কফি।
স্বাদের বৈপরীত্য: পরিবেশন করা হয়েছে পেস্ট্রি। তার স্বাদ মিষ্টি। এর সঙ্গে কড়া কালো কফি থাকলে স্বাদে কিন্তু বৈপরীত্য আসবে। স্বাদের অভিজ্ঞতা হবে নতুন।
ভারতীয় কোন খাবারের সঙ্গে কোন চা বা কফি?
· পাতে যদি আলুর পরোটা থাকে, তা হলে কিন্তু গ্রিন বা হোয়াইট টি নয়, লাগবে মালাই দেওয়া দুধ চা। স্বাস্থ্য নয়, স্বাদের বিচারে আদর্শ এটি।
· আবার যদি ইডলি খান সঙ্গে থাকে সম্বর, চুমুক দিতে পারেন ফিল্টার কফিতে। সম্বরের টক ভাবের পর ফিল্টার কফির স্বাদই ভাল লাগবে।
· পনির হোক বা মুরগির টিক্কা— এই ধরনের খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা যেতে পারে গ্রিন টি।
· ভাত-রাজমা হোক বা বাঙালি কোন মাছের পদ, তার সঙ্গে চুমুক দিতে পারেন সেকেন্ড ফ্লাশ দার্জিলিং চায়ে।