অরিন্দম আর স্বাগতম একসঙ্গেই পালন করেছিলেন মীরার জন্মদিন। ফাইল চিত্র
সুখেই আছেন ওঁরা। সংসার আছে। একে অপরের প্রতি কর্তব্যবোধ আছে। তবে আটকে রাখার বালাই নেই।
একজন পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। আর এক জন গবেষক। অরিন্দম আর মীরা (নাম পরিবর্তিত)। মীরার বাড়ি বর্ধমানে। অরিন্দম বোলপুরের ছেলে। বিয়ে করার ইচ্ছা আছে। আপাতত কলকাতা শহরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকেন। জমিয়ে সংসার করছেন। তবে একে অপরের জীবনে কখনও বাধা সৃষ্টি করতে রাজি নন ওঁরা। সপ্তাহান্তে একসঙ্গে নৈশভোজ কখনও হয়। কখনও বা হয় না। মীরার আর এক প্রেমিক আছেন। তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই শনি-রবিবারের ছুটি কাটান।
অরিন্দমের মন খারাপ হয় না। সম্পর্ক ঘিরে দু’জনের বিশ্বাস একই ধরনের। একজনের সঙ্গে থাকলে, যে আর কারও প্রেমে পড়া যায় না, এমন তো নয়। বরং সম্পর্ক খোলামেলা হয় এতে। বক্তব্য অরিন্দম-মীরার।
মীরা অন্য কারও সঙ্গে থাকলে একা লাগে না অরিন্দমের? তা কেন হবে? সেদিন নিজের মতো করে সময় কাটান। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন। বই পড়া-সিনেমা। আরও কত কাজ থাকে, যা সংসারের চাপে হয় না। আপাতত অরিন্দমের আর কোনও প্রেমিকা নেই। তবে আগে ছিল। আবার নতুন প্রেম হতে পারে।
একই সময়ে যদি মীরার সঙ্গে থাকতে ইচ্ছা করে দুই প্রেমিকের? তখন কী করেন ওঁরা? অরিন্দমের জবাব, ‘‘তখন আমি, মীরা আর স্বাগতম একসঙ্গে সময় কাটাই।’’ যেমন মীরার জন্মদিন অরিন্দম আর স্বাগতম একসঙ্গেই পালন করেছিলেন। তবে এমনটা বেশি হয় না। অরিন্দমের সঙ্গে মীরার সংসার প্রাধান্য পায়। সময় নিয়ে অসুবিধার জায়গা নেই। যেমন বাড়ি থেকে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে মানুষ বন্ধুদের বাড়িতে আড্ডা দিতে যায়, স্বাগতম-মীরার ক্ষেত্রেও তেমনই।
স্বাগতমের মন খারাপ হয় না অরিন্দমের সঙ্গে মীরা বেশি সময় কাটায় বলে? মানুষের যেমন কারও প্রতি ভালবাসা থাকলে তাকে বেশি সময় নিজের কাছে দেখতে ইচ্ছা করে, তেমন হয়। তাঁরও নিজের জীবন আছে। ফলে মীরার সঙ্গে সময় কাটানো সারাক্ষণ তার পক্ষেও মানসিক ভাবে সম্ভব নয়।
সপ্তাহান্তে কী করেন ওঁরা? স্বাগতমের বাড়ি চলে যান। সেখানে বন্ধুরাও আসেন। না হলে দু’জনেই থাকেন। সিনেমা দেখেন। রান্না করেন। গল্প করেন। কাজ থাকলে, তা-ও সেরে নেন মাঝেমধ্যে। যৌন সম্পর্ক? আছে। অরিন্দমের অসুবিধা হয় না? অরিন্দম বলেন, ‘‘এ তো স্বাভাবিক বিষয়। অসুবিধা হবে কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy