• ম্যাটের উপর সোজা হয়ে পা মুড়ে সুখাসনে বসুন। শিরদাঁড়া টানটান রেখে ঘাড় ও মাথা সোজা করে দুই চোখ বন্ধ করুন। এই অবস্থানে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। এই ভঙ্গিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে চোখ খুলুন।
• এবার ডান হাত মাটিতে রাখুন নিতম্বের সোজাসুজি, একটু তফাতে। এ বারে শ্বাস নিতে নিতে বাম হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপরে তুলুন।
আরও পড়ুন: ৩৫তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• হাত ও নিতম্ব মাটিতে দৃঢ় ভাবে রেখে কোমর থেকে ডান দিকে ঝুঁকে যান। খেয়াল রাখবেন, ঘাড় বা মাথায় যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এই অবস্থানে কিছু ক্ষণ থাকুন ও স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিন। জোর করে বেশি হেলবেন বা ঝুঁকবেন না। এর ফলে শরীরে বাড়তি চাপ পড়তে পারে।
• এ বারে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাঁ হাত মাথার উপর থেকে নীচে নামিয়ে বাঁ দিকের নিতম্বের পাশে মাটিতে রাখুন।
• ডান দিকের মতো করে বাঁ দিকেও অভ্যাস করুন। এতে এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে তিন রাউন্ড অভ্যাস করুন।
• হাত ওঠানো-নামানোর সময় কোমরের নীচের দিকে টান বা স্ট্রেচ অনুভব করবেন, এটাই আসনটির বৈশিষ্ঠ্য।
সতর্কতা
রক্তচাপ অত্যন্ত কম হলে, মাথা ঘোরার সমস্যা থাকলে ও হাঁটুতে ব্যথা থাকলে মাটিতে পা মুড়ে বসে আসনটি অভ্যাস করবেন না। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে চেয়ারে বসে আসন অভ্যাস করলে একই উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন: ৩৪তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব?
এই আসনটি ঘাড়, কাঁধ, কোমর ও নিতম্বকে টানটান রেখে এক অত্যন্ত আরামদায়ক অনুভুতি দেয়। ডান ও বাঁ দিকে হেলে আসনটি করার ফলে বুকের পাঁজরের ছোট ছোট পেশীগুলি উজ্জীবিত হয়ে আরামদায়ক অনুভুতি অনুভব করতে পারেন। কোমর বাঁকানো হয় বলে সেখানকার বাড়তি মেদ কমে কোমর সুগঠিত হয়। একই সঙ্গে পাশে শরীর বাঁকানো আসন করার ফলে পেটের পেশী দৃঢ় হয় এবং বিপাকীয় হার বাড়ে ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। মেটাবলিজম অর্থাৎ বিপাকীয় হার বাড়ার জন্য বাড়তি মেদ জমতে পারে না।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)