কোভিড থেকে সেরে ওঠার সময়ে কেমন ঘরে থাকবেন? নিজস্ব চিত্র
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার অনলাইন। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার গাইড ‘ভাল থাকুন’।
করোনা থেকে সেরে ওঠার সময় কোন ঘরে আপনি থাকছেন, সেই ঘরের পরিবেশ কেমন, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা উচিত। ঘরের পরিবেশ দূষিত হলে সেরে উঠতে বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
ঘরের কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন, দেখে নেওয়া যাক।
ধুলো কম: ঘরে ধুলোর পরিমাণ যতটা পারা যায় কমান। কারণ ধুলো থেকে নানা রকমের অ্যালার্জির আশঙ্কা থাকে। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসে ধুলো ঢুকলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ঘরে এসি থাকলে, তা দিয়ে ঘর খুব ঠান্ডা করবেন না। বাইরে গরম, ভিতরে খুব ঠান্ডা— এ রকম হলে জ্বর-সর্দি-কাশি, বুকে কফ জমার আশঙ্কা বাড়ে।
এয়ার পিউরিফায়ার: আজকাল অনেকেই এই যন্ত্র ব্যবহার করছেন। বাতাসের দূষিত কণা এই যন্ত্র ছেঁকে নেয়। ফলে পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়া যায়। এই যন্ত্র ঘরে বসাতে পারেন।
বিছানা সাফ: যে ঘরে থাকবেন, তার বিছানা বা কার্পেট সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করুন। এর মধ্যে জমে থাকা ধুলোময়লা এবং অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী কণাগুলি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে এগুলি পরিষ্কার করা দরকার।
গাছ লাগান: বেশ কিছু গাছ আছে, যেগুলি ঘরের ভিতরে ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, এরা ঘরের ভিতরের বাতাসকে দূষণমুক্তও করতে পারে। এই গাছগুলি ঘরে লাগাতে পারেন। অ্যান্থুরিয়াম, স্প্যাথিফাইলাম, আইভি লতা গোছের গাছ লাগাতে পারেন ঘরে।
মনে রাখবেন, কোভিড থেকে সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে। যে ঘরে আপনি দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন, সেটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলে, তা আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, তা আপনার মনও ভাল রাখবে। তাতে সেরে ওঠার পথটা আরও সুগম হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy