Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mood

মন ভাল রাখতে কী ভাবে নিয়মে বাঁধবেন নিজের খাওয়াদাওয়া?

নিয়ম মেনে না খেলে যে শুধু পেটে খিদে থাকবে আর শরীর খারাপ হবে, এমন নয়। মানসিক স্বাস্থ্যেরও হবে অবনতি।

কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে মন কেমন থাকবে।

কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে মন কেমন থাকবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৪৭
Share: Save:

নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। না হলে, তা নীচে নামতে পারে। যার থেকে অসম্ভব ক্লান্তি আসে শরীরে। আর ক্লান্ত থাকলে কাজ করতে অসুবিধে হয়। সময়ে নিজের কাজ ভাল ভাবে সম্পূর্ণ না হলে মন ভাল থাকে না। আর রোজ রোজ এমনটা চলতে থাকলে মনের অবস্থা আরও খারাপ হয়। দীর্ঘমেয়াদি মন খারাপ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ খারাপ হওয়ার মতো কিছু সমস্যা হতে থাকে। শর্করা বৃদ্ধি পেলেও সমস্যা কমে না। ফলে নিয়ম মেনে না খেলে যে শুধু পেটে খিদে থাকবে আর শরীর খারাপ হবে, এমন নয়। মানসিক স্বাস্থ্যেরও হবে অবনতি।

এত কিছু বলার একটাই কারণ। খাওয়ার যত্ন নিন। মনও ভাল থাকবে। কিন্তু তা কী ভাবে করবেন?

যথেষ্ট পরিমাণ তরল পদার্থ পান করুন

শরীরে জলের মাত্রা কমতে থাকলে অনেক সমস্যা হয়। শুধু শরীরের ক্ষতি, এমন নয়। ভাবনা-চিন্তার ক্ষমতাও কমতে থাকে। কোনও কাজের সময়ে লক্ষ্যে স্থির থাকা যায় না। শরীরের যেমন জলের দরকার, তেমনই প্রয়োজন মগজের। জল কম খেলে মগজ বেশি ক্ষণ সঙ্গ দিতে পারে না। ফলে কাজ করতে গিয়ে মানসিক চাপ বাড়িয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। তাই বলে ঠান্ডা পানীয়, মদ কিংবা অত্যধিক মাত্রায় কফি মোটেও সাহায্য করবে না। জল যেমন খেতে হবে, তেমন মাঝেমধ্যে ফলের রস, দুধের মতো তরল খাবার খেয়ে শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখা যায়।

ক্লান্তির সময়ে ভাজাভুজি একেবারেই নয়

দিনভর কাজের পরে মন ভাল করতে সন্ধ্যায় একটু ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছে অনেক সময়েই হয়। দু’টো চপ-কাটলেট, কিংবা সিঙারা-জিলিপি সে তালিকায় উপরের দিকে। তবে সমস্যাটা হল, এই ভাজাভুজি হজমের ক্ষতি করবেই। কারও ক্ষেত্রে বেশি। কারও বা কম। এই যা তফাত। আর নিয়মিত হজমের সমস্যা যে কতটা মেজাজ খারাপের কারণ হয়, তা আর আলাদা করে বলার কিছু নেই। মানসিক স্বাস্থ্যের খুবই ক্ষতি হয় বদহজমের কারণে।

প্যাকেটজাত খাবারও বেশি নয়

কাজের চাপ থাকলেই এই ধরনের জিনিস সহজ করে দেয় জীবনটা। কয়েকটি প্যাকেট চিপস্‌, এক বোতল ঠান্ডা পানীয় মন ভাল করে দেয়। কিন্তু সেইটা কিছু ক্ষণের জন্যই। তার পরে ধীরে ধীরে উল্টো প্রভাব ফেলে তা আপনারই মনের উপরে। গোটা বিশ্বে হার্টের সমস্যা, ডায়াবিটিস বেড়ে যাওয়ার পিছনে বড্ড বড় অবদান রয়েছে এই প্যাকেটজাত খাবারের। এই ধরনের জিনিস জীবন সহজ করে মনে হলেও, আসলে তা করে না। শরীরের ক্ষতি তো করেই, সঙ্গে এমন জিনিসের প্রতি নির্ভরশীলও করে তোলে মনকে।

আড্ডা মানেই মদ, একেবারেই না

দিনের শেষে কাজ সংক্রান্ত বৈঠক হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, মদ খাওয়ার প্রবণতা হয়েই থাকে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই অভ্যাসটাও বাঁধতে হবে নিয়মের মধ্যে। দিনের কোনও হিসেব না রেখে, যথেচ্ছে পরিমাণ মদ্যপান করা ক্ষতিকর। তার মানে এই নয় যে, মদ শরীরে গেলেই ক্ষতি হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, সবেরই নিয়ম থাকে। না হলে মন অবসাদগ্রস্ত হয়ে উঠতে পারে।

অর্থাৎ, মন ঠিক রাখা অনেকটাই নিজের হাতে। শুধু নিয়মে বেঁধে ফেলুন রোজের খাবারের অভ্যাস!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Food Mood Happiness
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE