নিমকি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এক সময়ে দশমীর সকাল থেকে বিভিন্ন বাড়িতে শুরু হত পুজো শেষের খাবার তৈরির আয়োজন। প্রায় সারা সকাল বাড়ির গিন্নিরা একসঙ্গে কাটাতেন হেঁশেলে। আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করা থাকত। কিন্তু সে সব দিন আর নেই। এখন ছোট ছোট সংসারে কারও এত সময় কোথায়? তবু মাঝেমধ্যে মা-ঠাকুমার বিজয়ার রেওয়াজের কথা মনে তো হয়। এ বছর বিজয়া উপলক্ষে এমন কিছু খাবার ঘরে তৈরি করতেই পারেন, যা আগে বাড়িতে হত।
অনেকে ভাবতে পারেন, সে সব করা খুব খাটনির কাজ। কিছু রান্নায় যেমন অনেক সময় যায়, তেমন কিছু পদ আছে, যেগুলি কম সময়ে বানিয়ে ফেলার মতোও। তেমনই তিনটি পদ এ বছর বানিয়ে দেখতে পারেন বাড়িতে। সে কালের বিজয়ার স্বাদ যেমন মনে পড়বে, তেমনই এ কালের ব্যস্ততা সামলেই এগুলি তৈরি করা যাবে।
কোন তিনটি রান্না করে দেখতে পারেন?
১) নিমকি: এক কালে ঘরে ঘরে নিমকি ভাজা হত। প্রতিমা বিসর্জন যাওয়ার আগেই বিকেল থেকে কত বাড়ির হেঁশেল থেকে যে নিমকি ভাজার গন্ধ আসতে শুরু করত! প্যাকেটে করে নিমকি এখন পাওয়া গেলেও সেই স্বাদ কোথায়? অথচ নিমকি বানাতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে না। ভাল ভাবে ময়দা মাখাই হল আসল।
২) ঘুগনি: এক কালে বিজয়ায় কোন বাড়ি গিয়ে ভাল ঘুগনি পাওয়া যায়, তা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হত। কোনও কোনও বাড়িতে আবার থাকত মাংসের ঘুগনিও। দশমীতে বড়দের প্রণাম করার রেওয়াজ বজায় আছে, কিন্তু বহু বাড়ি থেকে ঘুগনি হারিয়ে গিয়েছে। এ বছর ফিরিয়ে আনা যায় সেই রীতি।
৩) মুড়ির মোয়া: নারকেলের নাড়ুর পাক ভাল হওয়ার জন্য সময় দিতে হয়। কিন্তু মুড়ির মোয়া করা কঠিন কাজ নয়। গুড় জাল দিয়ে গরম গরম পাক দিলেই হল। বাড়িতেও যে যে আসবেন, হাতে তৈরি মোয়া পেয়ে মুগ্ধ হবেন। অনেকেরই হয়তো মনে পড়বে সে কালের বিজয়া পালনের কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy