চতুর্থী থেকেই শুরু হয়ে হয়েছে ঠাকুর দেখার পালা। ছবি: সংগৃহীত
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। চারিদিকে সাজো সাজো রব। শরতের বাতাসে পুজোর গন্ধ। উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙালি। রাস্তাঘাটের জনসমুদ্র বলে দিচ্ছে আমজনতার উত্তেজনা তুঙ্গে। চতুর্থী থেকেই শুরু হয়ে হয়েছে ঠাকুর দেখার পালা। বিগত দু’বছর অতিমারির কারণে পুজোর সময়টা ঘরেই কেটেছে। এ বার কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল। তাই উৎসব উদ্যাপনে কোথাও কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না কেউ-ই।
পুজো মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখা। হাঁটাহাঁটি। ভিড় ঠেলে এগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। তৃতীয় এবং চতুর্থীতে ঠাকুর দেখার যা ভিড় হয়েছিল ষষ্ঠীতে তা জনস্রোতে পরিণত হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আনন্দ কচিকাঁচাদের মধ্যে বেশি। তবে বাড়ির খুদে সদস্যটিকে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেলেই হল না, এই ভিড়ে তাকে সুস্থ রাখাটাও জরুরি। শিশুকে সঙ্গে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) কোভিড পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তাই বলে রাজ্য করোনামুক্ত এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী দৈনিক করোনা আক্রান্তের হার কিন্তু একেবারে কম নয়। তাই মাস্কের ব্যবহার বন্ধ করে দিলে চলবে না। বিশেষ করে বাচ্চাদের তো নয়-ই। বাচ্চারা এমনিতেই মাস্ক পরতে চায় না। পুজোর সময় মাস্ক পরানো মানে একটা যুদ্ধ। কিন্তু শরীরের সঙ্গে তো আপস করলে চলবে না। সঙ্গে একটা মাস্ক রেখে দিন। খুব ভিড় কোনও জায়গায় গেলে পরিয়ে দিন। ভিড়ে-ঠাসা মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে আবার খুলে দিতে পারেন।
২) বাচ্চাকে নিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরোলে ব্যাগে একটা জলের বোতল অবশ্যই রাখুন। শরৎকাল হলেও বেশ গরম রয়েছে। তার উপর এমন ভিড়। ফলে জলতেষ্টা পাওয়া স্বাভাবিক। জল সঙ্গে রাখলে সুবিধা। কোথাও একটু দাঁড়িয়ে জল খাইয়ে দিতে পারবেন।
৩) শুধু জল নয়, শিশুর জন্য কিছু শুকনো খাবারও সঙ্গে রাখুন। উৎসবের সময় বাইরের খাবার মানেই তেল-মশলার ছড়াছড়ি। বাচ্চাকে সে সব না খাওয়ানোই ভাল। তার চেয়ে বিস্কুট, কেক বা তার পছন্দের কিছু খাবার ব্যাগে রাখতে পারেন। কাজে লেগে যাবে।
৪) আবহাওয়া দফতর বলছে, পুজোয় বৃষ্টিতে ভাসবে শহর থেকে শহরতলি। আপাতত প্রকৃতির তরফে তেমন কোনও পূর্বাভাস এখনও পাওয়া যায়নি। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই আকাশ বেশ ঝলমলে। তবু সাবধানের মার নেই। বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে বেরোচ্ছেন যখন সঙ্গে একটা ছাতা রেখেই দিন। বৃষ্টি হলে অন্তত শিশুর একটা স্বস্তির আশ্রয় হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy