স্নানেরও আছে নিয়ম! ছবি: সংগৃহীত।
শীতের স্নান করার কথা ভাবলেই বুকের মধ্যে কেঁপে ওঠে শীতকাতুড়েদের। লেপ, কম্বলের ওম ছেড়ে স্নানঘরে ঢোকার চেয়ে বোধহয় বাঘের সামনে দাঁড়ানো তাঁদের কাছে ঢের সহজ। ঠান্ডায় স্নান করা সত্যিই একটা বড় কাজ। অনেকেই অবশ্য মাঝেমাঝে বিরতি দেন। শীতে মনে সাহস এনে এক বার যদি গায়ে জল ঢেলে ফেলা যায়, তা হলে অনেক সুফল মেলে। বিশেষ করে শীতে স্নান করার বেশ কিছু উপকারিতা আছে। ২০১৮ সালে ‘এভিডেন্স বেস্ড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। তাই ঠান্ডায় নিয়মিত স্নান করলে শীতের অনের রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়। তবে স্নান করারও কিছু নিয়ম আছে। সেগুলি মেনে চলতে পারলে ঝরঝরে থাকবে শরীর এবং ত্বক।
ঈষদুষ্ণ জলে স্নান
পৌষের শীতে ঠান্ডা জলে স্নান করা সত্যিই বেশ কঠিন। সে ক্ষেত্রে অনেকেই গরম জলে স্নান করেন। তবে জল কতটা গরম করছেন, সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ধোঁয়া ওঠা ফুটন্ত গরমজলে স্নান করলে শীতে ঠক ঠক করে কাঁপতে হয় না ঠিকই। কিন্তু এতে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে র্যাশ, চুলকানি, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা তো আছেই। তাই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন। তাহলে সব দিক রক্ষা হয়।
শাওয়ার জেল-এর ব্যবহার
শীতে এমনিতেই ত্বক অত্যধিক শুষ্ক এবং খসখসে হয়ে যায়। ফলে সাবান ব্যবহার করলে আরও বেশি রুক্ষ হয় ত্বক। তাই সাবানের বিকল্প হিসাবে শীতে ব্যবহার করতে পারেন শাওয়ার জল। সাবানের তুলনায় এগুলিতে তুলনায় কম ক্ষার থাকে। রোজ ব্যবহার করলেও ত্বক রুক্ষ হয় না।
স্নানের আগে বডি অয়েল
ঠান্ডায় ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। ফলে ভিতর থেকে শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বক। চামড়া খসখসে হয়ে যায়। ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে অনেকেই অবশ্য ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেন। বডি অয়েল মাখেন। তেল ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে পারদর্শী। তবে পরে না মেখে বরং স্নানের আগে মাখতে পারেন। তা হলে ঠান্ডাও কম লাগে, আবার ত্বক ভিতর থেকে মসৃণও হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy