ব্যস্ততার সঙ্গে মোবাইল যোগ, কমছে ঘুমের পরিমাণ। ছবি: শাটারস্টক।
আট ঘণ্টার প্রবল খাটনি। ঘেমে নেয়ে বাড়ি ফেরা। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা অথবা ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মধ্যরাত পর্যন্ত সজাগ থাকা। তার পর কোনও মতে একটু শুয়েই পরের দিনের দৌঁড়। জেন ওয়াইয়ের দশজনে সাতজনই এই অভ্যেসের খাতায় নিজেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন।
প্রত্যেকেই জানেন, এই অভ্যাসের জেরে প্রতি দিনের শুরুটা হচ্ছে ক্লান্তির মধ্যে দিয়ে। ফলে পারফরম্যান্স জুতসই হওয়া সম্ভব না। তবে অনেকেই জানেন না, এই অভ্যাসকে প্রশ্রয় দিতে দিতে আসলে তিলে তিলে আয়ুক্ষয় করছেন তাঁরা। ডেকে আনছেন মৃত্যুর শঙ্কা। জানেন কি, নিয়মিত কম ঘুম কতটা ক্ষতি করছে আপনার, ঠিক কী কী বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য—
রাতের ঘুম যেন অন্তত ৬ ঘণ্টার হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। এর চেয়ে কম ঘুমের কারণে শুধু মেদবাহুল্য নয়, হানা দিতে পারে আরও নানা ভয়াবহ অসুখ।
আরও পড়ুন: এই গরমে হেপাটাইটিসের আশঙ্কা প্রবল, দেখে নিন সুস্থ থাকার উপায়
ঠিক মতো ঘুম না হলে আচমকাই বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপজনিত কোনও অসুখ না থাকে, তা হলেও তা আচমকাই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আর যদি এই অসুখ আপনার আগে থেকেই থেকে থাকে, তা হলে আরও বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপের মাত্রা। ঘুম ঠিকমতো না হলে বেড়ে যেতে পারে ওজনও। কেননা ঘুম না হলে খিদে বাড়ানোর হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের ফলে ওজনের কাঁটা চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে। ঘুমের সময় কমে এলে তার চিহ্ন ফুটে ওঠে ত্বকে। মুখে গজায় অ্যাকনে। কারণ ঘুম না হলে হরমোনের সমস্যা হতে থাকে। যার ফলে ত্বকের উপরে প্রভাব পড়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে আকাশছোঁয়া খরচ? কমিয়ে ফেলুন এই সব কৌশলে
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ছ’ঘণ্টারও কম ঘুম ডেকে আনছে অসুখ।
ঘুম কমে এলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ঠান্ডা লাগা ও সর্দিজ্বরে কাবু হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। আর সেই সংক্রমণও সহজে সারে না। কম ঘুমে হজমের সমস্যা হবেই। এই সমস্যা প্যানক্রিয়াসের দফারফা করে ছাড়বে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কম ঘুমের ফলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। ডেনমার্কের মোট ৯৫৩ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন কম ঘুমোন যাঁরা, তাঁদের প্রায় ২৫ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। ফলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
অতএব কম ঘুমের যুক্তি সরিয়ে কাজের পর দিনান্তে অন্তত ছ’ ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy