Advertisement
E-Paper

প্রতিষেধক নেই এই ভাইরাসের, অ্যাডেনো-র হানা ঠেকান এ সব উপায়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৯ ১৭:১৮
অ্যাডেনোভাইরাস রুখতে মেনে চলুন কিছু জরুরি স্বাস্থ্যবিধি। ছবি: শাটারস্টক।

অ্যাডেনোভাইরাস রুখতে মেনে চলুন কিছু জরুরি স্বাস্থ্যবিধি। ছবি: শাটারস্টক।

ধুম জ্বর, সর্দি, কাশি সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। চেনা অসুখের ছাঁদে এ বার অচেনা ভাইরাস। শহর থেকে শহরতলি, মফস্‌সল থেকে গ্রাম, জেরবার এই নতুন ভাইরাসে। চিকিৎসকরাও ধন্দে, অচেনা অসুখের সঙ্গে লড়াই করার দাওয়াই এখনও হাতে আসেনি বলে।

অ্যাডেনোভাইরাসের এমন প্রতিপত্তিতে শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। ভাবনায় চিকিৎসকরাও। বছরের শুরু থেকেই এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এই ধরনের অসুখের শিকার হচ্ছেন বেশি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ‘‘কিছুটা সংক্রমণ ঠেকাতে উচ্চ মাত্রার কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। কিন্তু তা দিয়েও আয়ত্তে সব সময়আনা যায় না সংক্রমণ। এক সময় কেবল শ্বাসকষ্ট বা পেটের সমস্যা ঘটত জ্বরের সঙ্গে, সামাল দেওয়া যেত। কিন্তু এ বার ভেন্টিলেশন অবধি গড়াচ্ছে। সাপোর্টিভ থিওরি ছাড়া কিছু কাজও করছে না। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার, ভুলভাল প্রয়োগ সে সবও ভাইরাসের চরিত্রবদলের জন্য অনেকাংশেই দায়ী।’’

সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ২ দিন থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। বায়ুবাহিত অ্যাডেনোভাইরাস সাধারণত চোখ, অন্ত্র, মূত্রনালী ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। এই ভাইরাসের আক্রমণ ঘটলে এতটুকু সময় নষ্ট করা উচিত নয়। যত তাড়তাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞরা। জানেন কি, এর কী কী উপসর্গ, এবং প্রাথমিক ভাবে কোন কোন পদক্ষেপ নিলে সুস্থ হওয়ার পথ কিছুটা প্রশস্ত করা যায়?

আরও পড়ুন: আজই দাঁড়ি টানুন এই খাবারে, নইলে খাদ্যনালীর ক্যানসার থেকে রেহাই মিলবে না​

সর্দি-কাশি এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ।

উপসর্গ

সাধারণত শিশুরাই এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে বেশি।তবে বড়রাও আক্রান্ত হতেই পারেন। সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগলে তাই এতটুকু সময় নষ্ট করবেন না। দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করলে জ্বরের মাত্রা ক্রমে বাড়তে থাকে। নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ার সমস্যাও হানা দিতে পারে। কনজাংটিভাইটিস থাকতে পারে জ্বরের সঙ্গে। ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া থেকেও অসুখ বাঁক নিতে পারে। অনেকেরই ডায়রিয়া, বমি ও শ্বাসকষ্টের প্রাবল্য বাড়ে। সারা দিন ঘুষঘুষে জ্বর থাকতেও দেখা যায়, কিন্তু সে ক্ষেত্রেও জ্বর যখন বাড়ে, তা হু হু করে বাড়ে।

আরও পড়ুন: সহজেই ওজন কমবে যদি নিয়ম মেনে হাঁটাহাঁটি করেন, বিধিনিষেধগুলো জানেন কি

বায়ুবাহিত অসুখ আটকাতে মাস্ক পড়ুন রাস্তায় বেরোলে।

প্রতিরোধের উপায়

সাধারণত ভিড় এলাকা থেকে দূরে থাখুন। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়, তাই তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। এটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই আক্রান্তদের কাছ থেকেও দূরে থাকুন। সুস্থ না হওয়া অবধি তাঁদের ব্যবহারের জিনিসও আলাদা করে দিন। বায়ুবাহিত হওয়ায় রাস্তাঘাটে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করুন। মল-মূত্র ত্যাগের পর শিশু ভাল করে পরিষ্কার হল কি না সে দিকে খেয়াল রাখুন। নিজেও মেনে চলুন স্বাস্থ্যবিধি। শিশুকে ধরার আগে হাত ধুয়ে নিন। খাবার আগে ও পরে ভাল করে হাত ধোওয়া আবশ্যিক।

Adenovirus অ্যাডেনোভাইরাস Fitness Tips Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy