যে সময়ে আপনাদের দু’জনের, সে সময় আপনার প্রেমিক সেলফিমগ্ন। অথবা ফেসবুকে নিজের লাইক গুণছেন প্রেমিকা। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ঘরে ঘরে এই আত্মপ্রেম। তবে অসুখটি নতুন নয়। সাহিত্যে আত্মপ্রেমে মগ্ন মানুষের কথা উঠে এসেছে এক শতকেরও বেশি সময় ধরে। শেক্সপিয়ারের ‘কিং লিয়র’ হোক বা সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’। নার্সিসিজম ছিল এবং প্রবল পরাক্রমে আজও রয়েছে। মনোবিদরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়াকে বলছেন ‘নার্সিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’।
মনোবিদরা বলছেন, বেশির ভাগ নার্সিসিস্টই নিজের প্রকৃত অভিব্যাক্তিগুলিকে লুকিয়ে রেখে একটি অবাস্তব মুখোশ পরে সমাজের সামনে ভান করে। নিজেকে ভালবাসার এই সত্তা মাঝে মাঝে সমাজের সামনে ধরা পড়ে যায়। কী ভাবে বুঝবেন আপনার পার্টনার এই রোগের শিকার কি না?
চিকিৎসকদের মতে কাজটা খুবই কঠিন। ২০১৪ সালের তুরস্কের হাজেত্তেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, নার্সিসিজমের স্তরভেদ রয়েছে। খুব বেশি মাত্রায় নার্সিসিজমে ভোগা মানুষের কথা আলাদা। বেশির ভাগ নার্সিসিস্টই ‘ম্যানেজেরিয়াল নার্সিসিজম’ নামের একটি স্তরে অবস্থান করেন। এঁদের আত্মপ্রেম প্রকট নয়, প্রচ্ছন্ন। কিন্তু অনেক বেশি ভয়াল। এঁদের এখান থেকে বিরত করতে যাওয়া বিপজ্জনক। যিনি এই কাজটি করতে যাবেন, তিনিই এঁদের কাছে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়বেন।