ওজন কমাতে চাইলে ভুলতে হবে মেটাবলিজম সম্পর্কে কিছু মিথ। ছবি: শাটারস্টক।
বিপাক হার বাড়লে কমবে মেদ। এ তো সহজ হিসেব। কিন্তু এই বিপাক হার বাড়ানো নিয়ে আমাদের মধ্যে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। তাই বিপাক হার কমিয়ে মেদ ঝরানোর প্রশ্নে এই মিথগুলো আঁকড়েই ভুল করি আমরা। ফলে ওজন তো কমেই না, উল্টে ভুল কিছু নিয়মে বিপাক হার কমাতে গিয়ে হতে বিপরীতও হয়।
অনেক সময় দেখা যায়, নিয়ম মেনে ডায়েট, ব্যায়ামের পরেও অনেক ক্ষেত্রে সে ভাবে ওজন কমে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপাক হার সংক্রান্ত কিছু ভুলের জন্যই এমনটা হয়। পুষ্টিবিদ রেশমি রায়চৌধুরীর মতে, কোন কোন উপায়ে মেটাবলিজম বাড়বে সেটা যেমন জানা জরুরি, তেমনই কোন কোন জিনিসের আধিক্য ক্ষতি করবে সেটাও বোঝা দরকার। এমন অনেক কিছুই ডায়েটে দেওয়া হয় যা মেটাবলিজম সত্যিই কমায়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সে সব খাবার ছাড়া অন্য কিছু খাবেন না। এই বাড়াবাড়ি রকমের ভরসাই অনেক সময় বিপদ ডাকে।’’
কী কী মিথ সরলে তবেই মেদ কমবে আবার সুস্থও থাকবেন রইল তার হদিশ।
বার বার গ্রিন টি খেলেই যে বিপাক হার অনেকটা বেড়ে গিয়ে মেদ ঝরবে এমনটা কিন্তু নয়।
কার্ডিও এক্সারসাইজের সঙ্গে বিপাক হারের সম্পর্ক নেই: কার্ডিও এক্সারসাইজ যেমন দৌড়ানো, সাঁতার, জগিং, সাইক্লিং এ সব নিয়মিত অভ্যাসে ওজন কমে ঠিকই। কিন্তু এর সঙ্গে বিপাক হারল বাড়ানো-কমানোর কোনও সম্পর্ক নেই। ক্যালোরি পোড়াতে যেটুকু ভূমিকা এর রয়েছে, তার প্রভাবেই ঝরে মেদ। বিপাক হার বাড়াতে পারে ভেবে বাড়াবাড়ি রকমের কার্ডিও এক্সারসাইজ করলে শরীর ক্লান্ত হবে ও অন্যান্য জটিলতাও দেখা দেবে।
কম খেলেই বিপাক হার বাড়বে: ওজন কমানোর প্রশ্ন হোক বা বিপাক হার বাড়ানো, কম খাওয়া কোনও ভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। বরং কম খেয়ে ওজন কমানোর মতো অবৈজ্ঞানিক কিছুই হয় না। তিন ঘণ্টা অন্তর একটু একটু করে খেতে হবে। এমন ভাবে খাবেন যাতে পেটে হালকা জায়গা থাকলেও মোটামুটি পেট ভরে যায়। কম খেলে শারীরিক ক্লান্তি, গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা যেমন আসবে তেমনই খালি পেট বাড়িয়ে দেবে মেদ।
কেবলই গ্রিন টি: গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়ায় ঠিকই। কিন্তু সেই ভরসায় দিনের মধ্যে বার বার গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। বার বার গ্রিন টি খেলেই যে বিপাক হার অনেকটা বেড়ে গিয়ে মেদ ঝরবে এমনটা কিন্তু নয়। তাই দিনে দু’বারের বেশি গ্রিন টি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
নারী-পুরুষের এক বিপাক হার: এই ধারণাও অত্যন্ত ভুল। সমওজনের নারী ও পুরুষের বিপাক হার মোটেও এক হবে না। আসলে বিপাক হার নির্ভর করে পেশীর গঠন, শারীরিক কাঠামো ইত্যাদির উপর। ঘুম, ক্যালোরি গ্রহণ ইত্যাদির উপরও শরীরের বিপাক হার অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই নারী ও পুরুষ উভয়ের বিপাক হার এক ভাবলে, সে ধারণা ভুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy