এই পুজোর বয়স একশো বছরেরও বেশি। বিশাল প্রতিমা। বছরের পর বছর ধরে স্মৃতিতে গেঁথে থাকে একচালার ঠাকুরের রাজকীয়তা। ওই ডাকের সাজ। বিরাট মুকুটের তলায় ওই চেনা মাতৃমুখ। ‘থিমায়িত’ এ বঙ্গে হরেক কায়দার ঠাকুরের খুঁটিনাটি মনে থাকে পুজোর ওই ক’টা দিন মাত্র, কিন্তু যে ঠাকুরের মুখখানি সংবাদপত্র, টিভি, লাখো বিজ্ঞাপন আর শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে চেনা যায়, যার কোনও ক্যাপশন লাগে না, তা হল বাগবাজার সর্বজনীনের ঠাকুর।
অনেকেরই বাগবাজারের ঠাকুর না দেখলে দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখা সম্পূর্ণ হয় না। আর ঠাকুর দেখার ফাঁকে খাওয়াদাওয়া তো সারতেই হবে। বাগবাজারের ঠাকুর দেখার পর কোথায় সারবেন পেটপুজো, রইল হদিস।
নীলাচল: এখানকার মাছের কচুরি না খেলে কিন্তু পরে আক্ষেপ করবেন। ভেটকির পুর ভরা ফুলকো কচুরি সঙ্গে আলুর তরকারি আর স্যালাড খেলে কিন্তু মন ভরে যাবে। এ ছাড়াও বাগবাজার স্ট্রিটের নীলাচল-এ পাবেন ডিমের ডেভিল, ফিশ কাটলেট, চিকেন কাটলেট, ফিশ ফ্রাইয়ের মতো লোভনীয় সব ভাজাভুজি।
ব্রোজ কবাব: ঠাকুর দেখার ফাঁকে একটু কবাব খেলে মন্দ হয়ে না। বাগবাজারে ক্ষুদিরাম মূর্তির ঠিক সামনেই ছোট একটি ষ্টলে পেয়ে যাবেন রকমারি কবাবের সম্ভার। পকেটে খুব বেশি চাপ দিতে না চাইলে এই ঠিকানা থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। রেশমি থেকে পেয়ারে, তন্দুরি থেকে হরিয়ালি কাবাব, রাস্তার ধারে এই স্টলটিতে খেলে নিরাশ হবেন না।
কুইক বাইট: তিব্বতি খাবারের ভক্ত? তা হলে ঘুরে আসতে পারেন এই ছোট দোকানটি থেকে। ঠাকুর দেখার মাঝে গরম গরম মোমো, থুকপা, ফালে পেলে আর কী-ই বা চাইতে পারে মন ! খুব বড় দোকান নয়, বসার ঠিকঠাক জায়গাও হয়তো পাবেন না, তবে এখানকার খাবারের স্বাদ মনে থেকে যাবে বহু দিন ।
লাল্টু কেবিন: বাগবাজার ঘাটের দিকে যেতে গেলেই চোখে পড়বে এই দোকান। ফিশ ফ্রাই, ফিশ ব্যাটার ফ্রাই, মোমো-সহ অনেক কিছুই পাবেন এই দোকানে। তবে এখানে এসে যেটা না খেলেই নয়, তা হল ভাপা চিকেন। ‘লাল্টু কেবিন’-এর ফয়েল প্যাকে মুড়ে বানানো চিকেন ভাপা কিন্তু দারুণ ভাইরাল।
মিষ্টি ছাড়া কিন্তু বাগবাজারের ঠাকুর দেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। উত্তর কলকাতার এমন মিষ্টির স্বাদ আর কোথাও পাওয়া মুশকিল। মিষ্টিমুখ করতে হলে সুন্দরম, কালিকা মিষ্টান্ন ভান্ডার, রামকৃষ্ণ সুইট থেকে রসগোল্লা, সন্দেশ আর রসের বাহারী মিষ্টি চেখে দেখতে পারেন।