শহর জু়ড়ে যখন থিম পুজো নিয়ে এত মাতামাতি, সেই সময়ও মণ্ডপ ও প্রতিমার সাজসজ্জায় সাবেকিয়ানা ধরে রেখেছে দক্ষিণ কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়্যার। মূর্তি এখানে একচালার। মণ্ডপ জুড়ে ঝাড়বাতির আলোর রোশনাই। আর মণ্ডপের আশপাশে দেদার মানুষের ভিড়। বছরের পর বছর ম্যাডক্স স্কোয়্যার মানে একই ছবি। পুজোর মধ্যে এক দিন ম্যাডক্সে গিয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা না দিলে অনেকেরই পুজো সম্পূর্ণ হয় না। তবে শুধু ঠাকুর দেখলে আর আড্ডা দিলেই তো চলবে না, পেটপুজোও করতে হবে। ম্যাডক্স চত্বরে ঠাকুর দেখার ফাঁকে কোথায় সারবেন ভূরিভোজ, রইল হদিস।
স্পাইস ক্রাফ্ট: পুজোর মেনুতে দেশ-বিদেশের খাবার রাখতে চাইলে এই ঠিকানায় ঢুঁ মারতেই পারেন। এখানকার বিয়ার ক্যান টেমপুরা, পর্ক রিব্স বুরহা কবাব, বেক্ড ফিশ ওয়েলিংটন, মুর্গ রেশমি মালাই, হানি মাস্টার্ড তন্দুরি প্রন চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন। এ ছাড়াও এখানকার এলিও অলিও স্প্যাগেটি পাস্তা, অ্যালফ্রেডো পাস্তার মতো কন্টিনেন্টাল খাবারও বেশ জনপ্রিয়।
গোপাল’জ়: পুজোর ক’দিন অনেকেই নিরামিষ খান। যদি মাছ-মাংস না খেয়ে নিরামিষ দিয়েই ভূরিভোজ সারতে চান, তা হলে এই রেস্তরাঁ থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। ভেজ থালি থেকে চাইনিজ় রকমারি পদ, সঙ্গে তন্দুরি প্ল্যাটার— সবই পেয়ে যাবেন এই রেস্তরাঁয়। দক্ষিণী খাবারের ভক্ত হলে এই রেস্তরাঁয় আপনি নিরাশ হবেন না। এখানকার দোসা, বড়া, ইডলির স্বাদ কিন্তু বেশ ভাল।
ক্যাফে বাই দ্য লেন: ম্যাডক্সে ঠাকুর দেখার পর বান্ধবীকে নিয়ে ঝাঁ চকচকে ক্যাফেতে ঢুঁ মারতে চাইলে গন্তব্য হতেই পারে এই ক্যাফেটি। মোমো, পাস্তা, পর্ক প্ল্যাটার, স্যান্ডউইচ আর রকমারি মিষ্টির পদ চেখে দেখতে পারেন এই ঠিকানায়। আর এত কিছু না খেতে চাইলে কফিতে চুমুক আর তার সঙ্গে ফিস ওরলে, ফিশ ফিঙ্গার কিংবা গার্লিক ব্রেড— সন্ধ্যার হালকা খিদে মেটাতেও ক্যাফে বাই দ্য লেন থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
জয় হিন্দ ধাবা: ম্যাডক্সের ঠাকুর দেখে বেরিয়ে এই ধাবায় ঢুকতেই পারেন। রোল থেকে তন্দুরি চিকেন, চিকেন বাটার মশলা থেকে মটন হান্ডি আর সঙ্গে তন্দুরি রুটি— এই ঠিকানার খাবারের মান কিন্তু বেশ ভাল। শেষে গলা ভেজাতে লস্যি অর্ডার করতে ভুলবেন না যেন। এখানে চাইনিজ়ও পাবেন।
আরও পড়ুন:
শর্মা ধাবা: ম্যাডক্সের ঠাকুর দেখার পর ভাল কবাব খেতে ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন শর্মা ধাবা থেকে। মটন বোটি কবাব, তন্দুরি চিকেন, মটন শিক কবাব, ফিশ টিক্কা— কবাবের রকমারি সম্ভার পেয়ে যাবেন এই রেস্তরাঁয়। এখানকার তরকা রুটির স্বাদও বেশ ভাল। চেখে দেখতে পারেন চাইনিজ় খাবারও। আর বিরিয়ানি চাইলে তা-ও পাবেন এই ঠিকানায়।
ব্লু টকাই কফি রোসটার্স: ম্যাডক্সে ঠাকুর দেখার ফাঁকে ভাল আমেরিকানো বা এক্সপ্রেসো কফি চেখে দেখতে হলে ঢুঁ মারতেই পারেন এই ক্যাফে থেকে। এ ছাড়াও রকমারি চায়ের সম্ভারও পাবেন এখানে। তবে শুধু তো চা খেলে চলবে না, চায়ের সঙ্গে ‘টা’ও তো চাই। বার্গার, সাওয়ার ডো পিৎজ়া, স্যান্ডউইচ, র্যাপ, পাস্তা, প্যানকেক— যা চাইবেন, তাই পাবেন এই ঠিকানায়।
ফ্লাই কউজ়িনা: পুজোয় দেশ-বিদেশের রকমারি খাবার চেখে দেখতে হলে এই রেস্তরাঁয় যেতেই পারেন। ফিউশন খাবার খেতে পছন্দ করলে এই ঠিকানায় গিয়ে নিরাশ হবেন না। পিৎজ়া, পাস্তা, স্টেক— সবই পাবেন এখানে। বিরিয়ানি, পোলাও খেতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। শেষপাতে ক্লাসিক চিজ় কেক, চকো লাভা কেক, ওয়ালনাট ব্রাউনি না খেলে কিন্তু আফসোস করবেন।