গা বমি ভাব কমিয়ে দিতে পারে আদার শরবত ছবি: সংগৃহীত
বিমানে উঠলেই অনেকের শরীর খারাপ লাগে। গা বমি বমি ভাব থেকে শুরু করে, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট— নানা রকমের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যার একটাই সমাধান। আদার রস। তবে আদার রস তো বিমানে পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে বিমানে যাতায়াতের সময়ে যে পানীয়টি পান করা উচিত, সেটি হল— আদা-লেবুর শরবত। যার পোশাকি নাম জিঞ্জার এল।
কী এই জিঞ্জার এল? কী ভাবেই বা বানানো হয়?
এই পানীয় বানাতে আদা, লেবু আর অল্প চিনির রস লাগে। জলে পরিমাণ মতো তিনটে মিশিয়ে নিলেই হল। তৈরি এই জিঞ্জার এল।
পানীয় হিসাবে এটি খুব একটা জনপ্রিয় নয়। আদা-লেবুর মিষ্টি শরবত কেউই খুব একটা খেতে চান না। তার কারণ এর চড়া মিষ্টি স্বাদ। আদার সঙ্গে সেটি মিশে যে স্বাদ তৈরি হয়, সেটি অনেকেরই খুব একটা পছন্দের নয়। কিন্তু তা হলে বিমানে এটিই পান করতে হবে কেন?
হালে এক আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পত্রিকায় পুষ্টিবিদ এবং বিজ্ঞানী লরেন গ্রসকফ জানিয়েছেন এর কারণ। তাঁর মতে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় এই জিঞ্জার এল খেতে যেমন লাগে, বিমানে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার কারণ, মাটি থেকে বিমানের উচ্চতা এবং তার ভিতরের বায়ুর চাপ। এই পরিস্থিতিতে স্বাদকোরকগুলি একটু অন্য রকম ভাবে কাজ করে। ফলে এই পানীয়টিকে স্বাভাবিক উচ্চতায় যেমন খেতে লাগে, মাঝ আকাশে বিমানের ভিতরে মোটেও তা লাগে না। বরং তার মিষ্টত্ব কিছুটা কমে যায়। এই স্বাদই বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা কমিয়ে দেয়।
একশোর বেশি বিমানযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন লরেন গ্রসকফ। এর পাশাপাশি অন্য পানীয়গুলির কথাও তিনি জানিয়েছেন। বলেছেন, ওয়াইনের মতো পানীয় বিমানে বেশি মিষ্টি লাগতে পারে। তাতে বমি ভাব বাড়তে পারে। আর সোডা মেশানো ঠান্ডা পানীয় আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে। কারণ বিমানের ভিতরের বাতাসের চাপের কারণে এই জাতীয় পানীয় বেশি ফেনা তৈরি করে। সেটি পেটের ভিতর গিয়ে বমি ভাব আরও বাড়িয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy