ঠান্ডা যত বাড়তে থাকে ঘি-ও জমাট বেঁধে যায়। রান্নার সময় তাড়াহুড়োয় ঘিয়ের শিশি থেকে চামচ ঢুকিয়ে তা বার করা খানিক ঝক্কিরই বটে। বিশেষত হাতের কাছে সেই সময় যদি শিশি বা কৌটোর মাপের সঙ্গে মানানসই চামচ না পাওয়া যায়। তা ছাড়া ঘিয়ের শিশি ছোট হলে চামচ তার মধ্যে ঢুকতেও চায় না। সেই ঘি গলিয়ে বার করতে গেলেও বাড়তি সময় নষ্ট। হাতের সামনে গরম ভাত বা রুটি, অথচ ঘি গলার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে—এও বড় বিরক্তির। বদলে ঘি কেমন ভাবে রাখলে সহজেই তা ব্যবহার করা যাবে সেটা জানা দরকার।
১। ঘি যাতে পুরোপুরি জমে না যায় সেজন্য খাওয়ার তেল মিশিয়ে রাখতে পারেন। তবে বেছে নিতে এমন তেল যা শীতেও জমে না। ঘিয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে রাখতে পারেন। তা হলে ঘি নরম থাকবে।
আরও পড়ুন:
২। ঘিয়ের নির্দিষ্ট কৌটো থেকে বার করে তা ঢেলে রাখুন চওড়া মুখের কাচপাত্রে। তার মধ্যে সহজেই চামচ ব্যবহার করা যায়।
চওড়া মুখের কাচপাত্রে ঘি রাখলে চামচ দিয়ে তোলা সহজ হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৩। ঘিয়ের কৌটো সাধারণত প্লাস্টিকের হয়। সেটি সরাসরি গরমে বসানো ঠিক নয়। বদলে কাচপাত্রে ঢেলে রাখলে সুবিধা বেশি। কাচের পাত্র গরম জলে বসিয়ে রাখলে চট করে তা গলে যাবে।
৪। জমাট বাঁধা ঘিয়ে হালকা গরম চামচ ব্যবহার করলেও তরল ঘি পাওয়া যাবে। তুলতেও সুবিধা হবে।
৫। মাঝেমধ্যে ঘি চামচ দিয়ে ঘেঁটে দিন। এতেও চট করে ঘি জমে যাবে না বা দরকারে সহজে সেটি ব্যবহার করা যাবে।
তবে ঘি যে কাচপাত্রেই রাখুন, সেটির ঢাকনা যেন ভাল ভাবে আটকানো থাকে। বায়ু নিরোধক পাত্র হলে সবচেয়ে ভাল হয়, এতে ঘি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। যে পাত্র থেকে বার বার ঘি নেওয়া হবে, তাতে অল্প করে ঘি ঢেলে রাখুন। বার বার চামচ দিয়ে নেওয়া হলে, বেশি ঘি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চামচটি যেন সব সময় পরিষ্কার থাকে।