এত দিন বাবা, মায়ের সঙ্গে নিরাপদ জীবন কাটছিল। ঝগড়া, অশান্তি লেগে থাকলেও তার জন্যই এক সঙ্গে ছিল বাবা, মা। কিন্তু সেই পরিবার এখন ভেঙে যেতে বসেছে। বাবা, মা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে আর সম্ভব নয় এ ভাবে। চলছে টানাপড়েন। এই অবস্থায় সন্তানের মানসিক অবস্থা ভেবে দেখার চেষ্টা করেন না অনেক বাবা, মায়েরাই। নিজেদের হারজিতের লড়াইয়ে ক্রমশই হারিয়ে ফেলতে থাকেন সন্তানকে। বুঝতে পারেন না কত বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ওদের। ফলস্বরূপ, বড় হয়ে বাবা, মায়েদেরই নিজেদের একাকিত্বের জন্য দায়ী করে ওরা। তাই ডিভোর্সের সময় ওদের একটু সময় দিন, সামলে উঠতে সাহায্য করুন।
বাচ্চার প্রতি সত্ থাকুন
বাবা, মা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিলে সন্তানরা তাঁদের স্বার্থপর ভাবতে শুরু করে। সন্তানের প্রতি সত্ থাকুন। ওদের ভাবনা, চিন্তা, আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন। ওরাই যে আপনাদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝান। ওদের জীবনে যে পরিবর্তন আসছে তার সঙ্গে ওদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করুন। আপনাদের সাহায্যই কিন্তু ওর পক্ষে এই পরিস্থিতি বোঝা ও সামলানো সহজ করে তুলবে।
ওদের আবেগ, অনুভূতি বুঝুন
শৈশবে হোক, কৈশোরে বা যৌবনে। যে কোনও বয়সেই বাবা, মায়ের ডিভোর্স একটা বড় ধাক্কা। এই অবস্থায় সন্তানরা নিজেদের অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা প্রকাশ করতে পারে না। আরও বেশি গুটিয়ে নিতে থাকে নিজেদের। ওদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। সাহায্য করুন যাতে ভিতরের কথা খুলে বলতে পারে। এই সময় বাচ্চারা একাকিত্বে ভুগতে থাকে। সেই একাকিত্ব কাটিয়ে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে বাচ্চাকে নিয়ে অবশ্যই এই কাজগুলো করুন
জীবনের যে কোনও সময়ই নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে আমাদের। বাবা, মা, পরিবার সন্তানের কাছে সবচেয়ে নিরাপত্তার জায়গা। সেই জায়গা ভেঙে যাওয়া ওদের জন্য খুব বড় আঘাত। এই সময় ওরা রাগী, জেদি হয়ে উঠতে পারে। অধৈর্য হবেন না। ওদের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy