শিক কবাব হোক বা রেশমি কবাব— মুখে দিলেই নরম মাংস, তার সঙ্গে মশলার মিশমিশ, মাখনের গন্ধ মিলে দারুণ এক স্বাদের হদিস মেলে।কবাবপ্রেমীরা বলবেন, “এ স্বাদের ভাগ হয় না।”
কিন্তু মাংস, মাছ, ডিম খান না বলেই কি কবাব-সুখ থেকে বঞ্চিত রয়ে যাবেন? তা ছাড়া, ওজন কমাতে গেলে প্রোটিন জাতীয় খাবারে জোর দিতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণই বা কী ভাবে হবে? একঘেয়ে ডাল-তরকারি রোজ ভাল লাগে না। তার চেয়ে ডাল এবং সব্জি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু কবাব।
সয়াবিন, ডাল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রকমারি কবাব।
কাবলি ছোলার কবাব
প্রোটিন সমৃদ্ধ কাবলি ছোলায় রয়েছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজ। কাবলি ছোলা নুন দিয়ে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। মিক্সারে সেটি বেটে নিন। এবার একটি পাত্রে কাবলি ছোলা বাটার সঙ্গে কুচি করে কাটা পেঁয়াজ, লঙ্কা, আদা, রসুন, নুন, ধনেগুঁড়ো মিশিয়ে মেখে নিন। যোগ করুন শুকনো খোলায় নাড়া বেসন। এ বার গোল চ্যাপ্টা আকার দিয়ে নন স্টিক তাওয়ায় অল্প তেল দিয়ে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিন। এয়ার ফ্রায়ারেও রান্না করে নিতে পারেন।
সয়াবিনের টিক্কা কবাব
সয়াবিন নুন জলে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে জল ঝরানো টক দই, সর্ষের তেল, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা, নুন, ধনে-জিরে গুঁড়ো ভাল করে মাখিয়ে নিন। যোগ করুন ১ টেবিল চামচ শুকনো কড়ায় নেড়ে নেওয়া বেসন গুঁড়ো। সমস্ত উপকরণ সেদ্ধ, জল ঝরানো সয়াবিনে মাখিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ চৌকো করে কেটে নিন। সেগুলিও মশলা দেওয়া দইয়ের মিশ্রণে মিনিট পাঁচেক রেখে দিন।
এ বার একটি সরু রডে বা শিকে সয়াবিন ঢুকিয়ে দিয়ে তার পর পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম দিন, আবার সয়াবিন দিন। এই ভাবে সেটি সাজিয়ে কাঠকয়লার আগুনে সেঁকে নিন। ওটিজি-তেও এই কবাব ভাল হবে। ননস্টিক তাওয়ায় আঁচ বাড়িয়ে-কমিয়েও কবাব বানাতে পারেন।
মুসুর ডালের
কবাব
মুসুর ডাল ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। ভেজানো কাঠবাদাম জল ঝরিয়ে, আদা, রসুন স্বাদমতো
নুন দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। যোগ করুন মিহি করে কাটা পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা। এ বার মিশ্রণটি লম্বা এবং সরু করে কবাবের আকার দিন। মাঝে একটি
মোটা কাঠি গুঁজে ননস্টিক তাওয়ায় উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিন।