নিজেরা ঘরদোর পরিষ্কার করা আর পেশাদার দিয়ে ঘর পরিষ্কার করানোর মধ্যে তফাত হয় সব সময়েই। ইদানীং অ্যাপের সাহায্যে পেশাদার লোকজনকে ডেকে ঘর, স্নানঘর খুব ভাল করে পরিষ্কারের চল বাড়ছে। তবে এখনও বহু মানুষই ঘরদোর নিজেরা পরিষ্কার করেন বা গৃহ-সহায়িকার সাহায্য নেন। কিন্তু সেই পরিষ্কারের সঙ্গে পেশাদারদের কাজের তফাত হয় কেন? তা ছাড়া যে কাজ তাঁরা অতি সহজে করেন, সেই কাজই নিজেদের করতে সময় বেশি লাগে। খাটনিও বেশি হয়। সঠিক কৌশল না জানাই তার কারণ। ঘরদোর পরিষ্কার করার সময় ভুলেও যে ভুলগুলি করবেন না।
উপর থেকে শুরু করুন: মেঝে মুছে দেওয়ালের ঝুল ঝাড়া অর্থহীন। এতে দ্বিগুণ খাটনি হবে। সাধারণত দেখা যায় লোকজন ঘর পরিষ্কার করা শুরু করেন মেঝে বা টেবিল, দেরাজ থেকে। তার পর হয়তো চোখ যায় দেওয়ালের ছবিটায় বা ঝাড়লণ্ঠনে। চোখ পড়ে, কোনায় ঝুল জমেছে। মেঝে বা টেবিল পরিষ্কারের পর এই কাজ করতে যাওয়া মানে দেওয়াল থেকে ধুলো পড়বে আবার, সেগুলি পরিষ্কারও করতে হবে।
আরও পড়ুন:
ঘর মোছার আগে কোনটি জরুরি: ধুলো-ময়লা জমে যাওয়া মেঝে সরাসরি সাবান জল, ন্যাতা দিয়ে মুছলে কাদা হবে। সঠিক কৌশল হল আগে ঝাঁটার সাহায্যে ধুলো বার করে দেওয়া। ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। তার পর ন্যাতা দিয়ে ঘর মোছার সরঞ্জাম ব্যবহার করে মেঝে পরিষ্কার করুন। ন্যাতা বা ঘর মোছার জিনিসটি যেন অবশ্যই পরিষ্কার হয়। মোছামুছির পর অনেকেই তা ধুয়ে রাখেন না। এতে যেমন জীবাণুর সংক্রমণ হবে, তেমনই নোংরাও হবে ঘর।
ক্লিনিং স্প্রের সঠিক ব্যবহার: আসবাব পরিষ্কারের জন্য বিশেষ তরল স্প্রে করে সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিচ্ছেন? এটা কিন্তু সঠিক পন্থা নয়। তরল স্প্রে করে এক থেকে দু’মিনিট অপেক্ষা করুন। বিশেষত জীবাণুনাশক উপাদান ব্যবহার করলে। এতে মেঝে হোক বা আসবাব, ভাল ভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত হয়।