চাদর নতুনের মতো রাখবেন কী করে? ছবি- সংগৃহীত
এই কিছু দিন আগে চৈত্র সেলের সময়ে বেশ কয়েকটা বিছানার চাদর কিনেছেন। তারই কয়েকটা বার দুয়েক ব্যবহার করে কাচতে দিয়েছেন। কিন্তু কাচার পর চাদরগুলোর রং এমন ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে যে সেগুলি দেখে নতুন বলে মনেই হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দামে কম বা সেলের সময়ে কেনা বলেই যে তার মান খারাপ হবে এমনটা ভেবে নেওয়ার কিন্তু কোনও অর্থ নেই। কাচার পর চাদরের রং ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যাওয়ার পিছনে অন্য আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। কখনও কখনও কাচার দোষেও বিছানার চাদরের রং নষ্ট হয়ে যায়।
বিছানার চাদর নতুনের মতো রাখতে কী কী করবেন না?
১) ওয়াশিং মেশিনে বেশি জিনিস দেওয়া
তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাবে ভেবে, অনেকগুলি চাদর একসঙ্গে মেশিনে কাচতে দিয়ে দেবেন না। ওয়াশিং মেশিনেরও নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। তার বেশি হয়ে গেলে চাদরের ময়লা তো উঠবেই না, উল্টে অতগুলি চাদর একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২) অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহার
বেশি ফেনা এবং পরিষ্কার হবে বলে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট পাউডার দিলে চাদরের রং এবং মান দুই-ই নষ্ট হবে। কারণ, কাপড় কাচার সাবান যত ভালই হোক না কেন, তার মধ্যে অল্পবিস্তর ক্ষার থাকবেই। তাই সাবান পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে চাদর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
৩) কাপড়ের ধরন বুঝে যত্ন
বালতি বা গামলায় সাবান আর গরম জল দিয়ে সব জিনিস একসঙ্গে ভিজিয়ে দেন অনেকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিছানার চাদরেরও বিভিন্ন ধরনের ফ্যাব্রিক রয়েছে। সব ধরনের কাপড়ে এক রকম সাবান বা ফুটন্ত গরম জল দেওয়া যায় না। তাই কাপড়ের ধরন বুঝে আলাদা করে কাচার বন্দোবস্ত করতে হয়।
৪) গরম জলে চাদর কাচা
ধরধবে সাদা হবে ভেবে ফুটন্ত জলে সাবান দিয়ে চাদর ডুবিয়ে দিলেন। এই অভ্যাস যদি থাকে তা হলে চাদরের রং নষ্ট হবেই। বার বার একই ভাবে কাচতে থাকলে, নতুন চাদর পুরনো হতে বেশি সময় লাগবে না।
৫) অতিরিক্ত রোদ লাগা
ভিজে জিনিস রোদে শুকিয়ে নিলে রোগজীবাণু মুক্ত হয়। আবার অতিরিক্ত রোদ লাগলে চাদরের রংও নষ্ট হয়ে যায়। অনেকেই বলেন, বেশি রোদ লাগলে নাকি চাদর মাপেও ছোটও হয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy