ছোট্ট একটা বীজ। তাতেই লুকিয়ে মহীরূহ হওয়ার সম্ভবনা। শুকনো একটা বীজ মাটি, আলো, জল পেলে কী ভাবে ডালপালা মেলে গাছ হয়ে ওঠে, ফুল দেয় ফল দেয়, সে সব খুদেকে হাতেকলমে শেখাতে পারেন।
বই পড়ার পাঠ আত্মস্থ করার জন্য হাতে-কলমে শিক্ষা খুব জরুরি। সে শেখা হতে পারে ঘরে বসেই।রান্নাঘরের জিনিস দিয়েই বাগান তৈরির পাঠ কী ভাবে দেবেন খুদেকে?
১। শুকনো ছোলার বীজ। যেটা ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে খাওয়া হয় তা থেকে কী ভাবে অঙ্কুরোদগম হয় খুদেকে দেখান। ছোলা ভিজিয়ে রাখলে, কখন তা থেকে অঙ্কুর বের হয়, তা কী ভাবে মাটিতে বসাতে হয়, খুদেকে নিয়েই তা করুন। মাটি ফুঁড়ে যখন চারা বেরোলে উৎসাহী হবে সন্তান। চোখের সামনে দেখবে গাছের বড় হওয়া।
২। আম, জাম, কাঁঠালের বীজ থেকে কী ভাবে গাছ হয় সেটাও দেখাতে পারেন। ইদানীং অনেকে বড় টবে আম গাছ করছেন। বড় জায়গা না থাকলে তেমন ভাবেও সন্তানকে দেখাতে পারেন। গাছপালার যত বৈচিত্র থাকবে, ততই শিশুর জ্ঞান-ভান্ডার প্রশস্ত হবে।
৩। রকমারি সব্জির গাছও বসাতে পারেন বাগানে। কাঁচালঙ্কা থেকে টোম্যাটো, ধনেপাতা, মেথিগাছ ঘরেই ফলতে দেখবে খুদে। গাছের জিনিস খাওয়ার মধ্যেও আনন্দ আছে। রকমারি সব্জি খাওয়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাবে সে।
৪। রান্নাঘরে যেমন সকলের খাবার থাকে তেমন থাকে গাছের খাবারও। এটাও সন্তানকে শেখানো যায়। কমলালেবুর খোসা, ডিমের খোসা, রসুনের খোসা, চা-পাতা এগুলি জমাতে থাকুন। এগুলি পচিয়ে কী ভাবে সার হয় খুদেকে দেখান।
ছোট ছোট ধাপই শিশুকে গাছপালা ভালবাসতে শেখাবে। বাগানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে খুদে। এমনকী শাকসব্জি খাওয়াতেও তার আগ্রহ তৈরি হতে পারে।