শহর হোক বা শহরতলি, যেখানেই থাকুন, একটানা কোলাহল কান ঝালাপালা করে দেয়। নিজের বাড়ির ভিতর নৈঃশব্দ, শান্তির চাহিদা যেন বিলাসিতা। গাড়ির হর্ন, বাইকের মোটরের আওয়াজ থেকে শুরু করে মানুষের ঝগড়াঝাটি, বাড়িঘর বানানোর যন্ত্রের শব্দ। কিন্তু আপনি চান, নিরিবিলিতে জীবন কাটাতে। এ দিকে বাইরের অবিরাম হট্টগোল কমানো আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। তা হলে বাড়ির ডিজ়াইন বদলাতে হবে। সেটি আপনার হাতেই রয়েছে। জেনে নিন প্রশান্ত জীবন যাপনের জন্য ঘরে কী কী বদল আনতে পারেন।
আপনার উদ্দেশ্য, শব্দরোধক ঘর বানানো। যার অর্থ, এমন একটি ঘর, যেখানে নানাবিধ নকশা, প্রযুক্তি নির্ধারণ করবে শব্দ কী ভাবে এবং কতটা সঞ্চারিত হবে। কী ভাবে বানাবেন সেটি?
রইল শব্দরোধক ঘর বানানোর ৫ নকশার টিপ্স—
১. অ্যাকোস্টিক ওয়াল প্যানেল
দেওয়ালে অ্যাকোস্টিক ওয়াল প্যানেল থাকলে প্রতিধ্বনি কমবে। অবাঞ্ছিত শব্দ শোষণ করবে প্যানেলগুলি। এগুলি কেবল কাজের নয়, দেখতেও সুন্দর লাগে। শোয়ার ঘর, বাড়ির অফিস ঘরের জন্য সেরা কাঠের টেক্সচারের বা ত্রিমাত্রিক প্যানেল।
শোয়ার ঘর, বাড়ির অফিস ঘরের জন্য সেরা কাঠের টেক্সচারের বা ত্রিমাত্রিক প্যানেল। ছবি: সংগৃহীত।
২. মসৃণ আবার স্তরযুক্ত পৃষ্ঠতল
শক্ত পৃষ্ঠতল শব্দকে ফিরিয়ে দেয়। নরম পৃষ্ঠতল শব্দকে শোষণ করে। তাই প্রতিধ্বনি কমাতে স্তরে স্তরে কাপড় বা ফেব্রিক প্যানেল ঘরে রাখতে পারেন। আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হলে হালকা টোন বা প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করুন।
৩. সিলিং এবং মেঝে
বেশির ভাগ শব্দ ছাদ এবং মেঝে থেকে উৎসৃত হয়। সে ক্ষেত্রে ফল্স সিলিং কাজে আসতে পারে। এসপিসি (স্টোন পলিমার কম্পোজ়িট) মেঝের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন। যা শব্দের অত্যাচার কমাবে।
আরও পড়ুন:
৪. নিরিবিলি স্থান
গোটা বাড়ি শব্দ নিরোধক করা দেশের অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই ঘর ভাগ করে করে ডিজ়াইন করুন, যাতে সে সব এলাকায় আওয়াজ বেশি না যায়। যেমন ধরা যাক, পড়ার ঘর, কাজ করার জায়গা, ধ্যানের ঘর। এই সব ঘরে শব্দরোধক ব্যবস্থা করতে পারেন, কাপড় এবং মৃদু আলোর ব্যবহার তাকে অন্য মাত্রা দিতে পারে।
৫. গাছপালা
শব্দ শোষণ করার বিষয়ে জনপ্রিয় নয় বটে, কিন্তু বাইরের আওয়াজ কিছুটা কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে গাছের। তা ছাড়া ঘরের কোণে বা জানলার সামনে লম্বা গাছ রাখলে শব্দতরঙ্গ চারদিকে ছড়িয়ে দিতে পারে। তাতে আওয়াজের তীব্রতা কমবে।