শীতের সব্জি বিট-গাজরে আর কয়েক দিন পরেই ভরে যাবে বাজার। কিনেই সব্জি খাওয়া যায় ঠিকই, তবে নিজের বাগানে যত্নে বড় করা গাছে ফলন হলে, সে এক আলাদা তৃপ্তির বিষয় হয়ে ওঠে।
এখনও খুব বেশি দেরি হয়নি। এই মরসুমেই বীজ ছড়ালে মাস চারেকেই হবে ফলন। কী ভাবে গাজর চাষ করবেন জেনে নিন পদ্ধতি।
বীজের ধরন: চাষের জন্য যেমন সঠিক পরিবেশ, আবহাওয়া দরকার তেমনই প্রয়োজন ভাল মানের বীজ। কিছু বীজ সেপ্টেম্বরেই বপণ করতে হয়। তবে কিছু প্রজাতি আছে যা অক্টোবর, নভেম্বরে বসালেও চলে। সঠিক বীজ বাছাই জরুরি।
চাষের জায়গা: ফল রাখার প্লাস্টিকের বড় ঝুরি বা ক্রেটেও গাজর চাষ করা যায়। প্রথমেই ঝুরির পাশের ছিদ্রযুক্ত অংশগুলি চওড়া সেলোটোপ দিয়ে আটকে দিন। ৫০ শতাংশ বালিমাটির সঙ্গে ৫০ শতাংশ কোকোপিট মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিন। গাজরের জল ঝুরঝুরে হাওয়া চলাচল ভাল হবে এমনটা হলেই ভাল। মাটিতে মেশান অল্প কিছুটা গোবর সার, ভার্মি কম্পোস্ট এবং খোল।
বীজ বপণ: গাজরের বীজ বপণের আগে ২৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর পরিষ্কার কাপড়ে অতিরিক্ত জল মুছে নিন। এতে বীজ ছড়াতে সুবিধা হয়। প্রস্তুত করা মাটিতে বীজ ছড়িয়ে দিন। তার উপরে চালনির সাহায্যে অল্প করে মাটি ছড়িয়ে দিন। জল দিতে হবে স্প্রে করে। দিন পাঁচেক পর চারা বেরোবে। মাটির উপরিভাগ যেন শুকিয়ে না যায় সেটা খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
ফলন: গাছ মোটামুটি বড় হয়ে যায় ৬০ দিনেই। গাজরও ধরতে শুরু করে ধীরে ধীরে। এই সময়ে মাসে অন্তত এক থেকে দু’দিন করে খোল ভেজানো জল গাছের গোড়ায় দেওয়া দরকার, যাতে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। ১২০ দিনে গাজর কাটার জন্য তৈরি হয়ে যায়। ৯০-১০০ দিন পরেও অবশ্য কচি গাজর তোলা যেতে পারে।