শাক, সব্জি, ফল গাছের শখ? গরমের ফল তরমুজ ফলাতে পারেন বাড়িতেই। তরমুজের বীজ সংগ্রহ করে সেটি শুকিয়ে তা থেকেও যেমন চারা তৈরি করা যায়, তেমনই দোকান থেকে ভাল জাতের বীজ সংগ্রহ করতে পারেন।
১। টবের মাটিতে ২০ মিমি গর্ত করে বীজ বসিয়ে দিন। তারপর অল্প জল দিতে হবে। মাটি ভিজে কর্দমাক্ত হয়ে যাবে না আবার শুকনোও থাকবে না। উপযোগী পরিবেশ পেলে ১০-১৪ দিনেই চারা বেরোবে।
২। মাঝারি থেকে বড় টব বেছে নিন গাছ বড় করার জন্য। তরমুজ গাছের জন্য এমন মাটি তৈরি করতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল জমতে না পারে। দোআঁশ মাটি তরমুজের জন্য ভাল। তবে গাছের বৃদ্ধির জন্য মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে নেওয়া দরকার। বীজ থেকে চারা তৈরির সময়, গাছের জন্য মাটিও প্রস্তুত করে রাখতে হবে। চারা একটু বড় হলে সেটি বড় টবের সার দেওয়া মাটিতে পুঁতে দিন।
আরও পড়ুন:
৩। তরমুজ গাছের জন্য অন্তত ছ’ঘণ্টা সূর্যালোর প্রয়োজন। গাছ যাতে পর্যাপ্ত রোদ পায় তেমন স্থানে টব রাখতে হবে। মাটির পিএইচ মাত্রা ৬-৭ হলে ভালভাবে গাছ বাড়বে। জল দেওয়ার আগে দেখে নেওয়া দরকার টবের মাটির উপরিভাগ শুকিয়েছে কি না। কারণ, মাটিতে জল জমলে গোড়া পচে যাওয়ার ভয় থাকে। ৪। তরমুজ গাছে ফল ধরার জন্য পরাগসংযোগ জরুরি। না হলে স্ত্রী ফুল ঝরে যাবে। গাছে পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর স্বাভাবিক ভাবে পরাগসংযোগ না হলে কৃত্রিম ভাবে তা করতে হবে।
৫। তরমুজ গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। অ্যাফিডস, স্কোয়াশ বাগ, বিট্ল এই ধরনের পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করতে পারে, রোগ ছড়াতে পারে। বিশেষত গাছে ফুল এলে বা ফল ধরলে এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া দরকার। সাবানজল বা গাছের পোকামাকড় মারার উপযুক্ত কোনও রাসায়নিক স্প্রে নির্দিষ্ট মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে।
৬। গাছ ৫-১০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে স্লো রিলিজ় ফার্টিলাইজ়ার অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় ধরে গাছকে পুষ্টি জোগাবে এমন সার প্রয়োগ করা জরুরি। ফুল এলে দিতে হবে জৈব তরল সার।
৭। গাছ ঠিক ভাবে বেড়ে উঠলে ২-৩ মাসেই ফলন পাওয়া সম্ভব।